শেয়ার বাজার

সুপার লিগের বিধ্বংসী সৌম্যকে ওয়ানডেতে দেখতে চান মিরাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সুপার লিগের বিধ্বংসী সৌম্যকে ওয়ানডেতে দেখতে চান মিরাজ

সবার জানা, রংপুর রাইডার্সের হয়ে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি সুপার লিগে খেলা সৌম্য সরকার, রিশাদ হোসেন, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের তানজিম সাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ দলে আছেন।

কয়েক ঘণ্টা পরই সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে দলটি মাঠে নামবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।

তামিম ইকবাল আগে থেকেই ছিলেন না। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে সাকিব আল হাসানও দলের বাইরে। ইনজুরির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট সিরিজে দলে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম।

অভিজ্ঞদের ছাড়া অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্ট ২০১ রানে হারলেও জ্যামাইকায় শেষ টেস্টে দারুণ লড়াই করে ১০১ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। এতে ১-১ সমতায় লাল বলের সিরিজ শেষ করেছে টাইগাররা।

টেস্টের মতো ওয়ানডে সিরিজেও দলে নেই সাকিব, মুশফিক ও শান্ত। তাদেরকে ছাড়া একদিনের সিরিজে কী করে মিরাজের দল, সেটা দেখতে মুখিয়ে আছেন ভক্ত-সমর্থকরা।

আশার কথা হলো- সাকিব, মুশফিক ও শান্ত না থাকলেও ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ দলে থাকছেন সদ্য সমাপ্ত গ্লোবাল সুপার লিগে দারুণ পারফর্ম করা সৌম্য সরকার, রিশাদ হোসেন, আফিফ হোসেন ধ্রব ও তানজিম সাকিব।

টেস্ট দলের বাইরে থেকে যারা ওয়ানডে স্কোয়াডে ঢুকেছেন, তাদের মধ্যে সৌম্য, আফিফ, রিশাদ খেলেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। আর ডানহাতি পেসার তানজিম সাকিব খেলেছেন গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে। অর্থাৎ ভিন্ন ফরম্যাটে হলেও তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেই খেলার মধ্যে ছিলেন।

বিষয়টিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন মিরাজ। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জানান, গ্লোবাল সুপার লিগ ২০ ওভারের টুর্নামেন্ট হলেও তারা সবাই খেলার ভিতরেই ছিল। সেটা ওয়ানডে সিরিজে দলের জন্য ভালো হবে। বিশেষ করে ফাইনালে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে সৌম্য সরকারের দেড়শোর বেশি স্ট্রাইকরেটে ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংসকে মিরাজ বড় করে দেখছেন। তার বিশ্বাস, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সৌম্যর রানে ফেরা বেশ কাজে দেবে।

আজ রোববার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে ওই ৪ ক্রিকেটার প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘খুবই ভালো একটা দিক। দেখেন ওরা তিনজন খেলার ভেতর আছে। অনুশীলনের চেয়ে তো খেলাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ওরা খেলার ভেতর আছে, একই রকম কন্ডিশনে আছে। ওরা টিমের সঙ্গে জয়েন করবে। আশা করি, ওদের অবদানটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু সৌম্য ভালো খেলেছে, এটা আমাদের জন্য একটা বিরাট সুবিধা হয়ে থাকবে।’

Dummy Ad 1

ক্রিকেট
তিন সংস্করণে নতুন অধিনায়ক নাজমুল, প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

তিন সংস্করণে নতুন অধিনায়ক নাজমুল, প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ

বার্তাবেলা ডেস্ক: তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেনের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নতুন প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন। 

আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে বড় এই দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।

এত দিন সাকিব আল হাসান তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন। গত অক্টোবরে ওয়ানডে বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের পর আর একদিনও অধিনায়ক থাকবেন না। তবে শুধু ওয়ানডের কথা বলেছিলেন, নাকি সব সংস্করণের—তা পরিষ্কার ছিল না। বিশ্বকাপে সাকিবের চোটের কারণে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন।

পরে সাকিবের অনুপস্থিতিতে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও নাজমুল অধিনায়কত্ব করেন। অধিনায়ক ছিলেন এর পরপরই নিউজিল্যান্ড সফরেও। নাজমুলের নেতৃত্বে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জেতে। নিউজিল্যান্ড সফরে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডকে ওয়ানডেতে হারায় বাংলাদেশ, পরে জেতে একটি টি–টোয়েন্টিতেও। 

নতুন অধিনায়কের সঙ্গে নতুন নির্বাচক কমিটিও পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। আগের নির্বাচক কমিটি থেকে আবদুর রাজ্জাক অবশ্য আছেন নতুন কমিটিতেও। আগের কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশার। মিনহাজুল আবেদীনের বদলে প্রধান নির্বাচক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেনের নাম। কমিটির তৃতীয় সদস্য হিসেবে নতুন এসেছেন হান্নান সরকার, এতদিন যিনি জুনিয়র নির্বাচক কমিটির সদস্য ছিলেন। 



মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনই পড়লো ১৬ উইকেট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর, ২০২৪

মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনই পড়লো ১৬ উইকেট

মিরপুর টেস্টে আলোকস্বল্পতায় আগেভাগে খেলা বন্ধ হলো। তার আগে বোলারদের রাজ করার এক দিন কাটলো। টেস্টের প্রথম দিনেই দুই দলের মিলিয়ে পড়েছে ১৬ উইকেট।

বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে তারাও খুব স্বস্তিতে নেই। প্রথম দিন শেষ করেছে ৬ উইকেটে ১০৪ রান নিয়ে। ৩৪ রানের লিড নিয়েছে প্রোটিয়ারা।

দক্ষিণ আফ্রিকার পতন হওয়া ৬ উইকেটের মধ্যে ৫টিই নিয়েছেন তাইজুল। ৪৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ১৩ বারের মতো পাঁচ উইকেট শিকার করলেন তাইজুল। একইসঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ২০০ উইকেট শিকারীও হয়েছেন তাইজুল। পেছনে ফেলেন সাকিব আল হাসানকে।

২০০ উইকেট শিকার করতে সাকিবের লেগেছিল ৫৪ টেস্ট। তাইজুল তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ৪৮তম টেস্টে এসেই এই মাইলফলকে পৌঁছালেন।

বাংলাদেশকে অল্প রানে গুটিয়ে ব্যাট করতে নামা সফরকারীদের শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে প্রোটিয়া ওপেনার এইডেন মার্করামকে বোল্ড করেন ডানহাতি টাইগার পেসার। হাসানের ভেতরে ঢোকা বল ডানহাতি ব্যাটার মার্করামের (৭ বলে ৬) ব্যাটের কোনা স্পর্শ করে স্টাম্প ভেঙে দেয়। দলীয় ৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

দ্বিতীয় উইকেটে পিচে সেট হয়ে ব্যাটিং করছিলেন টনি ডি জর্জি ও ত্রিস্টান স্টাবস। ৪১ রানের জুটিও করে ফেলেছিলেন তারা। অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার এই জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনারের বাইরের দিকে বেরিয়ে যাওয়া বল ডানহাতি স্টাবসের ব্যাটের কাণায় লেগে স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতে জমা হয়। ২৭ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান প্রোটিয়া ব্যাটার।

তৃতীয় সেশনের শুরুতে আরও একটি শিকার ধরলেন তাইজুল ইসলাম। দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি ব্যাটার ডেভিড বেডিংহামকে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ বানান তিনি। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ২৫ বলে ১১ রান করেন বেডিংহাম। ৭২ রানে তৃতীয় হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

ইনিংসের ২৮তম ওভারে একে জোড়া শিকার করেন তাইজুল। ওভারের দ্বিতীয় বলে পিচে থিতু হয়ে থাকা টনি ডি জর্জিকে শর্ট লেগে মাহমুদুল হাসান জয়ের ক্যাচ বানান তিনি। ৭০ বলে ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান প্রোটিয়া ওপেনার।

ওই ওভারের শেষ বলে নতুন ব্যাটার ম্যাথিউ ব্রিটজকে (৪ বলে ০) বোল্ড করে দেন তাইজুল। দলীয় ৯৯ রানে ৫ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর সেট ব্যাটার রায়ান রিকেলটনকে আউট করে প্রোটিয়াদের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটান তাইজুল। উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে ক্যাচ দেওয়ার আগে রিকেলটন করেন ৪৯ বলে ২৭।

এর আগে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই সেশনও টেকেনি বাংলাদেশ। ৪১.১ ওভার ব্যাট করে ১০৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের তোপে ৩০ রানের বেশি করতে পারেননি কোনো ব্যাটার।

দিনের শুরুতেই ব্যাটিং ব্যর্থতার আভাস দেয় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান ওপেনার সাদমান ইসলাম। ৪ বল খেলে ০ রানে সাজঘরে ফেরত গেছেন এই ব্যাটার। প্রোটিয়া পেসার উইয়ান মুলদারের বলে দ্বিতীয় স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ হন বাঁহাতি সাদমান। দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এক ওভার বিরতি দিয়ে আউট যান মুমিনুল হকও। ৬ বলে মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন বাহাতি ব্যাটার। মুলদারের বলে উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনের হাতে ক্যাচ হন তিনি।

ষষ্ঠ ওভারে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত (৭ বলে ৭)। মুলদারের বলে শর্ট মিড অফে কেশব মহারাজের তালুবন্দি হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। অর্থাৎ প্রথম ৩টি উইকেটই নেন মুলদার। ২১ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।

এরপর বাংলাদেশকে টেনে তুলতে চেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু পারলেন না। দক্ষিণ আফ্রিাকার পেসার কাগিসো রাবাদার বল যেন বুঝে উঠতে পারছেন না অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। শেষমেশ উইকেট দিয়ে আসলেন তিনিও। প্রোটিয়া ডানহাতি পেসার উপড়ে ফেলেন ডানহাতি মুশফিকের দুটি স্টাম্প। ২২ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরত আসেন মুশফিক।

৪০ রানে ছিল না ৪ উইকেট। চরম ব্যাটিং বিপর্যযে পড়া বাংলাদেশকে সামান্য স্বস্তিও এনে দিতে পারলেন না লিটন দাস। দলীয় ৫ রান যোগ না হতেই আউট যান উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ১৩ বলে খেলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ডানহাতি লিটন। কাগিসো রাবাদার বলে স্লিপে ত্রিস্টান স্টাবসের হাতে ক্যাচ হন তিনি।

লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে আউট হন মেহেদী হাসান মিরাজ (২৪ বলে ১৩)। দলীয় ৬০ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশব মহারাজের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। আম্পায়ারের সরাসরি আউটের ঘোষণার পর রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটার।

পিচে থিতু হয়ে থেকেও ভালো ইনিংস খেলতে পারেননি ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ৯৭ বল খেলে মাত্র ৩০ রান করতে পারেন তিনি। প্রোটিয়া স্পিনার ডেন পিডটের বলে বোল্ড হন ডানহাতি ব্যাটার।

অভিষেক ম্যাচ রাঙাতে পারেননি জাকের আলী অনিক। ১৫ বলে মাত্র ২ রান করে মহারাজের বলে স্টাম্পড হন ডানহাতি ব্যাটার। স্কোরকার্ড ৭৬ রানের স্থির থাকতেই ২টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নাইম হাসান ৮ আর তাইজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন হাসান মাহমুদ।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা, উইয়ান মুলদার ও কেশব মহারাজ।


আরও এক পাকিস্তানি
খুলনাকে শক্তিশালী করতে আসছেন আরও এক পাকিস্তানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

খুলনাকে শক্তিশালী করতে আসছেন আরও এক পাকিস্তানি

বার্তাবেলা ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বড় একটা অংশ জুড়েই আছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই আসরে বরাবরের মতো আকর্ষণ তারা। ব্যতিক্রম হয়নি এবারেও। বিপিএলের সাত ফ্র্যাঞ্চাইজ সাধ্যমতো পাকিস্তানের তারকাদের দলে আনার চেষ্টা করেই যাচ্ছে। যার সবশেষ সংযোজন দেখা গেল খুলনায়। 

এবারের বিপিএল শুরুর ৫ দিন আগে তারা দলে টেনেছে পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজকে। বিপিএলের শুরু থেকেই পাকিস্তানি এই ক্রিকেটারকে পেতে আশাবাদী খুলনা টাইগার্স। এ ছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা আরিফ আহমেদকেও তারা দলে নিয়েছে। লিস্ট 'এ' ও প্রথম শ্রেনির ম্যাচ খেলা আরিফ অপেক্ষায় আছেন টি-টোয়েন্টি অভিষেকের।  

সবমিলিয়ে এবারে বেশ শক্তিশালী দল গড়ার চেষ্টাই করেছে খুলনা টাইগার্স। কদিন আগেই দলে যুক্ত হয়েছেন ওশানে থমাস ও নাহিদ রানা। বিদেশিদের মধ্যে এভিন লুইস, ফাহিম আশরাফ, দাসুন শানাকা, শাই হোপ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম দলের বড় শক্তি। দেশীয়দের মধ্যে এনামুল হক বিজয়, রুবেল হোসেন, আফিফ হোসেন ধ্রুব কিংবা পারভেজ হোসেন ইমনরা ভরসা জোগাচ্ছেন তাদের। 

মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ও ফাহিম আশরাফ ছাড়াও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, নাহিদুল ইসলামের বোলিং খুলনার বোলিং ভরসা। মোহাম্মদ নাওয়াজের অন্তর্ভুক্তি তাতে বাড়তি শক্তি জোগাবে নিশ্চিতভাবেই। আর তাদের স্পিন আক্রমণে নাসুম আহমেদ বড় ভরসা। আছেন আফিফ নিজেও। 

তবে দলের অধিনায়ক কে হবেন, তা এখনো নিশ্চিত না। আগের আসরে ইয়াসির আলী চৌধুরী শুরুতে নেতৃত্ব দিলেও পরে তাকে সরিয়ে শাই হোপকে অধিনায়ক করা হয়েছিল। এবার ঠিক কে অধিনায়ক হবেন, তা নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। দলটির প্রধান কোচের ভূমিকায় থাকবেন সাবেক টাইগার পেসার তালহা জুবায়ের। সাবেক এই টাইগার পেসার এর আগে বিপিএলে পেস বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন।