শেয়ার বাজার

ফেসবুকে খবর প্রকাশকদের এখন থেকে আর অর্থ দেবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

ফেসবুকে খবর প্রকাশকদের এখন থেকে আর অর্থ দেবে না

ব্যবহারকারীদের নিউজ ফিডে খবরের প্রকাশকদের এখন থেকে আর অর্থ দেবে না ফেসবুক।  নিউজ ট্যাব ফিচারটিও শিগগিরই বন্ধ করছে মেটা।

আগামী এপ্রিল মাস থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটার তরফ থেকে এমন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফেসবুকে নিউজ ট্যাবে সংবাদ পরিবেশন বা প্রকাশের জন্য আর টাকা দেওয়া হবে না। ফেসবুক নিউজ বলে যে বিশেষ অপশনটি ছিল, সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে নিউজ পাবলিশাররা কোনও নতুন অফার বা সুযোগ সুবিধা পাবেন না বলেও জানিয়েছে ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটা।

মেটা বলছে, নিউজ ট্যাব বন্ধ করার কারণে যে অর্থ ও সম্পদ বেঁচে যাবে, সেটা এমন কোনো কাজে ব্যবহার করা হবে, যা মানুষ ফেসবুকে দেখতে চায়।

তবে এমন সিধান্ত কেন নিয়েছে টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি? উত্তরে, মেটার তরফ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবসায়িক কারণ দেখানো হয়েছে। সেই সাথে বলা হয়, মানুষ ফেসবুকে সংবাদ ও রাজনৈতিক কনটেন্ট পেতে আসে না।

সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত ফেসবুকে ইউজাররা যা দেখেন, তার ৩ শতাংশের কম হল নিউজ। এছাড়াও খবর পড়েন এমন ইউজারদের সংখ্যাও ফেসবুকে বেশ কম বলেই জানিয়েছে মেটা। 

প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও জার্মানির জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা।সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী এপ্রিল মাস থেকেই ৩দেশের জন্য এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

এর আগে, গত বছর ব্রিটেন, ফ্রান্সেও এই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মেটার পক্ষ থেকে। নতুন করে তিনটি দেশে ফের একই নিয়ম চালু করার কিছু কারণ রয়েছে। বিনিয়োগের পাশাপাশি অন্য একটি কারণও দেখছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।‌ তা হল ফেসবুক নিউজ ব্যবহারকারীর সংখ্যায় পতন। গত বছর, প্রায় ৮০ শতাংশ ইউজার নিউজ ট্যাবে গিয়ে খবর পড়া আগ্রহ কমে যায় অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেই ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ মেটার, এমনটাই অনেকের দাবি। তবে, তিন দেশেই ব্যবহারকারীরা ফেসবুক ফিডে খবর দেখতে পাবেন বলে জানিয়েছে মেটা।

এর আগে, ২০২৩ সালে ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার ঘোষণা দিয়েছিল মেটা।

তবে, সংস্থাটি জানিয়েছে, ভিডিও কন্টেন্টের ক্ষেত্রে অ্যাড ও রেভিনিউ; বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য অপরিবর্তিত থাকবে।

Dummy Ad 1

হোয়াটসঅ্যাপে অন্য কেউ আপনার চ্যাট পড়তে পারবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

হোয়াটসঅ্যাপে অন্য কেউ আপনার চ্যাট পড়তে পারবে না

বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মানুষ ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন। চ্যাট নিরাপত্তা, এইচডি কোয়ালিটি ছবি, ভিডিও আদান-প্রদান করা যায় খুব সহজে। প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো করতে নানান ফিচার যুক্ত করছে।

হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহারকারীদের চ্যাট নিরাপদে রাখতে বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করেছে। এমন একটি ফিচার রয়েছে, যা অন রাখলে আপনার ফোন হাতে নিলেও অন্য কেউ চ্যাট পড়তে পারবে না।

ব্যবহারকারীরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ব্যক্তিগত চ্যাট লক করতে পারেন। কিন্তু এতে একটা সমস্যা রয়েই গেছে। ফোন লক করতে যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করা হয়, তা দিয়েই এই চ্যাট লক করতে হয়। সুতরাং কেউ যদি ফোন আনলক করতে পেরে যায়, তাহলে সব চ্যাট তার হাতের মুঠোয়।

তবে এই সব ফিচার থাকার পরও ব্যক্তিগত চ্যাটকে ফুলপ্রুফ রাখতে নয়া সিকিউরিটি ফিচার নিয়ে এলো হোয়াটসঅ্যাপ। এর নাম ‘সিক্রেট কোড’ ফিচার। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস, উভয় সিস্টেমেই কাজ করবে এই ফিচার। কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপে এই ফিচার চালু করবেন, কী কী সুবিধা মিলবে চলুন দেখে নেওয়া যাক-

এই সিক্রেট কোড ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারী লকড চ্যাটে কাস্টম পাসওয়ার্ড সেট করতে পারেন। এমনকি নিজের পছন্দমতো নামও দেওয়া যায়। অ্যাপের উপরের দিকে থাকবে এই লকড চ্যাট। ফোন যদি অন্য কারো হাতে পড়েও, এই সব চ্যাট তার পক্ষে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর যদি পেয়েও যান, তাহলেও সিক্রেট কোড ছাড়া খুলবে না। ভুল কোড টাইপ করলে চ্যাট লক অবস্থাতেই থাকবে। অন্য কোনোভাবেই সেই চ্যাটের নাগাল পাওয়া যাবে না।

সিক্রেট কোড ফিচার ব্যবহারের জন্য আগে ডিভাইসের কিছু চ্যাট লক করতে হবে। এজন্য প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ খুলতে হবে। এবার ব্যবহারকারী যে চ্যাট লক করতে চান, সেটাতে প্রেস এবং হোল্ড করবেন। চ্যাট সিলেক্ট হয়ে গেলে স্ক্রিনের উপরের ডান দিকে থ্রি ডটস মেনুতে ক্লিক করতে হবে। এখানে ‘লক চ্যাট’ অপশন আসবে। তাতে ক্লিক করতে হবে। এরপর কন্টিনিউতে ট্যাপ করতে হবে ব্যবহারকারীকে। সবার শেষে বায়োমেট্রিক (ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস লক) দিয়ে অথেন্টিকেট করতে হবে। তাহলেই চ্যাট লক হয়ে যাবে। ব্যবহারকারী ‘চ্যাটস’ ট্যাব থেকে সোয়াইপ করে ‘লকড চ্যাটস’ সিলেক্ট করে সেগুলো খুলতেও পারবেন।

এবার সিক্রেট কোড সেট আপের পালা। এজন্য-

>> প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ খুলে ‘লকড চ্যাটস’ ফোল্ডারে যেতে হবে।

>> এবার ক্লিক করতে হবে স্ক্রিনের উপরে ডান দিকের কোণে থ্রি ডটসে।

>> ‘চ্যাট লক সেটিংস’-এ ক্লিক করতে হবে।

>> বেশ কিছু অপশন আসবে। এর মধ্যে থেকে ‘সিলেক্ট কোড’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

>> এখানে ইউজার তার পছন্দ মতো কোড দেবেন।

>> কোডটি পুনরায় দিতে বলবে হোয়াটসঅ্যাপ। সেই মতো ফের কোড দিয়ে ‘ডান’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলেই লকড চ্যাটে সিক্রেট কোড ফিচার সেটআপ হয়ে যাবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


আগামী ৩১ দিন সতর্কতার সঙ্গে টেলিযোগাযোগ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে: পলক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

আগামী ৩১ দিন সতর্কতার সঙ্গে টেলিযোগাযোগ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে: পলক

নির্বাচনকালীন সরকারের আগামী ৩৪ দিন গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে এসে বিভাগের সম্মেলনকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বৈঠকের শুরুতে তিনি এ আহ্বান জানান। এসময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং অধীন দপ্তর-সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ৩৪ দিন আমাদের দৈনন্দিন কাজ, সবাইকে অনুরোধ করবো এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনারা সবাই সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের ডাক ও টেলিযোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। কারণ টেলিকম কমিউনিকেশন যদি চলমান না থাকে তাহলে আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য সব কিছুই কিন্তু ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। আমাদের ডাক যদি চালু না থাকে তাহলে আমাদের যে লজিস্টিকস, আমাদের সব পণ্য আনা-নেওয়া করা, সেটাই কিন্তু দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে যাবে।

পলক বলেন, এখন আমরা দেখছি হরতাল-অবরোধের নামে একটা রাজনৈতিক দল, একটা রাজনৈতিক গোষ্ঠী দেশি-বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করে প্রতিদিন নিরীহ মানুষের ওপরে আক্রমণ করছে। একজন ট্রাকচালক মারা গেছেন। অসংখ্য গাড়ি পোড়াচ্ছে, রাস্তায় অবরোধ করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে খুব সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ডাক বিভাগকে চলমান রাখতে হবে সব পণ্য, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত চিঠিপত্র লেনদেন করা; আমাদের বিটিআরসিকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অপরদিকে, আমাদের স্যাটেলাইট কমিউনকেশনকেও চালু রাখতে হবে বিনোদন, যোগাযোগ এবং যাতে আমাদের টেলিভিশন সেন্টারগুলো নির্বিঘ্ন কাজ করতে পারে।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমি সবাইকে অনুরোধ করবো দৈনন্দিন কাজগুলো অত্যন্ত সততা, স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পালন করবো। যেন নির্বাচনকালীন সময়ে আমাদের কোনো ধরনের যোগাযোগ এবং সেবা বিঘ্ন না ঘটে। আমাদের রাষ্ট্রীয়, সরকার এবং জনগণের কোনো সেবা যেন ব্যহত না হয়।’