শেয়ার বাজার

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে কর্মী নেবে যে দেশ, দেবে বিমান ভাড়াও

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে কর্মী নেবে যে দেশ, দেবে বিমান ভাড়াও

বাংলাদেশের নারীদের জন্য এক দারুণ সুখবর! রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বোয়েসেল (BOESL) এর মাধ্যমে জর্ডানের খ্যাতনামা “তাস্কার অ্যাপারেল” কোম্পানিতে যোগদানের সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৩০০ জন মহিলা পোশাককর্মী জর্ডানে কর্মজীবন শুরু করতে পারবেন।

তাস্কার অ্যাপারেল কোম্পানি, যা উন্নত কর্মপরিবেশ এবং সুযোগ-সুবিধার জন্য সুপরিচিত, নারী কর্মীদের জন্য মেশিন অপারেটর পদে এই আকর্ষণীয় চাকরির প্রস্তাব দিয়েছে। এই পদটিতে কর্মরত মহিলারা মাসিক ২১,৩১১ টাকা মূল বেতন পাবেন।

এছাড়াও, কর্মীদের জন্য রয়েছে বিনামূল্যে থাকা, তিন বেলা মানসম্মত খাবার এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সুবিধা। দূর দেশ জর্ডানে কর্মজীবন শুরু করতে কর্মীদের যেন কোনো আর্থিক চাপ না থাকে, সেজন্য কোম্পানি আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়াও বহন করবে।

আগ্রহী প্রার্থীদের বয়স হতে হবে ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে এবং পোশাক শিল্পে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিশেষত, প্লেইন মেশিন ও ওভারলক মেশিন পরিচালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। দৈনিক আট ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করার সুযোগের পাশাপাশি অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইমেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে তিন বছরের জন্য চুক্তি করা হলেও, কর্মীদের কর্মদক্ষতা বিবেচনা করে চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করা হতে পারে। জর্ডানের শ্রম আইন অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা ও শর্তাবলীও প্রযোজ্য হবে।

তবে, যে সকল নারীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বা জর্ডানের আদালতে কোনো মামলা চলমান আছে অথবা পূর্বে জর্ডান থেকে ফেরত এসেছেন, তাদের এই পদে আবেদনের প্রয়োজন নেই। এছাড়াও, প্রত্যেক কর্মীকে ন্যূনতম দুটি মেশিনে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের জন্য বৈদেশিক কর্মসংস্থানের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। যোগ্য প্রার্থীদের জন্য তাস্কার অ্যাপারেল কোম্পানিতে কাজের এই সুযোগ নিজেদের ভাগ্য বদলের একটি সেরা মাধ্যম হতে পারে।

Dummy Ad 1

লিবিয়ায় চার বাংলাদেশিকে অপহরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ, ২০২৪

লিবিয়ায় চার বাংলাদেশিকে অপহরণ

দালাল চক্রের সদস্যরা লিবিয়ায় উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে চার যুবককে প্রথমে দুবাই তারপর সিরিয়া মিশর হয়ে লিবিয়ায় পাঠিয়ে তুলে দেয় সংঘবদ্ধ মাফিয়াদের হাতে। এরপর তাদের নির্যাতনের ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হচ্ছে ১০ লাখ করে চল্লিশ লাখ টাকা। মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হলে জীবন দিতে হবে চক্রের হাতে চার জিম্মিকে। জন্য সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়।

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেল ৩টার মধ্যে যত পারে তত টাকা দিতেও বলা হয়। টাকা না দিলে একজন করে লাশ পড়বে বলে জানান অপহরণকারীরা। বুধবার বিকেলে অপহৃতদের স্বজনরা ইউএনও ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অপহৃত চার যুবক হলেন, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মো. ওয়াসিম (২২), মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন (১৯), আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম (১৯) ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন (২০)। তারা একই এলাকার বাসিন্দা।

অপহৃতদের স্বজনরা জানান, গহিরা এলাকার মো. হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম গত দুই মাস আগে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দাকে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়ার হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার আশ্বস্ত করেন। এতে মো. ওয়াসিম, বোরহান, জাবেদুর রহিম ও নাঈম উদ্দিন তার সাথে যোগাযোগ করে। প্রতিজন চার লাখ বিশ হাজার টাকা করে জহিরুল ইসলামকে মোট ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে লিবিয়ার উদ্দেশ্যে বের হয় তারা।

তারা আরও জানান, জহিরুল তাদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে গিয়ে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে তুলে দেন। মিজান তিন দিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিয়ে নেন। সাত দিন পর দুবাই থেকে মিশর হয়ে লিবিয়া নিয়ে মিজান অন্য দালালের হাতে বিক্রি করে দেন।

স্বজনরা জানান, লিবিয়ায় তাদের মাসখানেক কিছু কাজ দেওয়ার পর গত সোমবার (২৫ মার্চ) তাদের বন্দি করে রাখে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) পরিবার ও স্বজনদের কাছে কয়েকটি নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ ও অডিও পাঠায়। এতে প্রতিজনের থেকে ১০ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেন। টাকা প্রদানের জন্য ইসলামী ব্যাংকের চকরিয়া শাখার একটি ব্যাংক হিসাব নংও দেন। টাকা দিতে অপারগ হলে তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।

তারা আরও জানান, বর্তমানে ৪ যুবক লিবিয়ার একটি গোপন স্থানে বন্দি জীবনযাপন করছেন। টাকা পেলেই ফিরে দেবেন বলে জানান অপহরণকারীরা। দুইদিন ধরে দালালরা তাদের নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজও পাটাচ্ছে।

অপহৃত জাবেদুর রহিমের বাবা আবদুর রহিম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার যা ছিল সব দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছি। সেখানে ছেলে প্রতারণার শিকার হয়েছে। এখন ১০ লাখ টাকা দিলেই ছেলেকে ফেরত দেবে বলে জানাচ্ছে অপরণকারীরা। আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি।

বোরহান উদ্দিনের ভাই সাহাব উদ্দিন বলেন, বুধবার ৩টার মধ্যে চারজনের জন্য চার লাখ টাকা পাঠাতে বলেছে। বিকেল থেকে আমার মুঠোফোনের ইমু ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একাধিকবার ফোন করছে টাকার জন্য। তাদের নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজও পাঠাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

আনোয়ারা ইউএনও মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার চার যুবককে লিবিয়া নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সৌদিতে ভ্রমণ ভিসায় গিয়ে হজ পালনের চেষ্টা, আটক ৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৬ মে, ২০২৫

সৌদিতে ভ্রমণ ভিসায় গিয়ে হজ পালনের চেষ্টা, আটক ৪২

সৌদি আরবের নিরাপত্তা বাহিনী হজের নিয়ম লঙ্ঘন করায় অন্তত ৪২ জনকে আটক করেছে। তারা মূলত ভ্রমণ ভিসায় সৌদি গেছেন। হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে মক্কায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজের যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই এসব ব্যক্তি মক্কা শহরে প্রবেশ করেন। কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা শুরু করেছে। তাছাড়া এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সম্প্রতি সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনুমোদনহীনভাবে হজ করার চেষ্টা বা এমন কাজে সহায়তা করলেই কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এই নির্দেশনা কার্যকর হবে জিলক্বদের প্রথম দিন থেকে জিলহজের ১৪ তারিখ পর্যন্ত।

নতুন বিধান অনুযায়ী, অনুমতিপত্র ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।

সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই শাস্তি শুধু স্থানীয়দের জন্য নয়, ভিসার যে কোনো ধরনে যারা মক্কা বা পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ করবেন বা অবস্থান করবেন, তারাও এর আওতায় পড়বেন।

অবৈধভাবে প্রবেশকারী বা মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারী যারা হজ করার চেষ্টা করবেন, তাদের গ্রেফতার করে সৌদি আরব থেকে বহিষ্কার করা হবে। পাশাপাশি আগামী ১০ বছরের জন্য দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।


জর্জিয়ায় প্রবাসীর লাশ উদ্ধার, সন্দেহে ‘স্ত্রীর পরকীয়া’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি, ২০২৪

জর্জিয়ায় প্রবাসীর লাশ উদ্ধার, সন্দেহে ‘স্ত্রীর পরকীয়া’

বার্তাবেলা আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে নিজ গাড়ির ভেতর থেকে এক প্রবাসী বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। প্রবাসীদের ধারণা, ‘স্ত্রীর পরকীয়া’ ঠেকাতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

তার নাম সাজ্জাদ হাসান (৪১)। ঢাকার সন্তান সাজ্জাদ পেশায় ছিলেন প্রকৌশলী।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে আটলান্টায় সাজ্জাদের বাসার কাছে নিজের গাড়ির ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সেসময় গাড়ির ভেতর একটি চিরকুট পাওয়া যায়, সেটিকে ‘সুইসাইড নোট’ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

দুই শিশু-সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সাজ্জাদ জর্জিয়ার টাকের শহরে বাস করতেন। ২০১৯ সাল থেকে জর্জিয়া পাওয়ার কোম্পানিতে সিনিয়র ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করতেন তিনি।

শুক্রবার বিকালে লরেন্সভিলে ইসলামিক সেন্টার জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিতে আসা প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ধারণা করছেন সাজ্জাদ ‘পারিবারিক অশান্তির কারণে আত্মহত্যা’ করেছেন।

তারা অভিযোগ করেন, "গত বছরের অগাস্টে সাজ্জাদের স্ত্রী এমা তানজিমের পরকীয়া হাতেনাতে ধরা পড়ে নিকটজনের কাছে, সে সংবাদ বেশকিছু গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে মনঃকষ্টে ছিলেন সাজ্জাদ। চেষ্টা করেও স্ত্রীকে ফেরাতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।"

জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটর শেখ রহমান বলেন, “সাজ্জাদের কাছে থাকা চিরকুট থেকে অজানা অনেক কিছুই হয়তো জানা সম্ভব হবে।”

আরেক প্রবাসী কাজী নাহিদ বলেন, “এটাকে স্বাভাবিকভাবে নেওয়া সমীচীন হবে না। যদি কারো আচরণে সাজ্জাদ অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়ে থাকেন- তাহলে তাকে চিহ্নিত করা দরকার কমিউনিটির স্বার্থে।”