শেয়ার বাজার

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হলেন জাহেদুল হক 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হলেন জাহেদুল হক 

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৩৮৯তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রবিবার এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হলেন শরিয়াহ্ ভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি.-এর পরিচালক, চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মো. জাহেদুল হক।

জাহেদুল হক চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানাধীন পশ্চিম শাকপুরা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে ১৯৮৫ সালে এসএসসি এবং চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ থেকে ১৯৮৭ সালে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থইস্ট লুইসিয়ানা ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রাক্তন পরিচালক, বাংলাদেশ গার্মেন্টস্ ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এর প্রাক্তন সদস্য, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড কমার্স ও খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর সহ সভাপতি জনাব মো. জাহেদুল হক সততা, যোগ্যতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে দ্রুত সফলতার শীর্ষে আরোহণ করেন। পেশাগত জীবনে তিনি মেসার্স জাহেদ ব্রাদার্স এর প্রোপ্রাইটর এবং মেসার্স নূর অয়েল অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস্ ও মেসার্স আরাফাত লিমিটেডের পরিচালক।

মানবহিতৈষী, সকলের প্রিয় ব্যক্তিত্ব জাহেদুল হক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি বোয়ালখালী হাজী মো. নুরুল হক ডিগ্রী কলেজ, শাকপুরা, চট্টগ্রাম- এর গভর্নিং বডির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য; চট্টগ্রাম রাইজিং স্টার ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান, আর্মি গল্ফ ক্লাব ঢাকা, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য; চট্টগ্রাম বোট ক্লাব, চট্টগ্রাম ক্লাব লিমিটেড, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট ক্লাব এবং চট্টগ্রাম সিনিয়রস্' ক্লাব লিমিটেডের স্থায়ী সদস্য। এছাড়াও তিনি আমেনিয়া ফোরকানিয়া নূরীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা এবং চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর।

Dummy Ad 1

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের টাকা পাওয়া কি সহজ হবে?- কর্তৃপক্ষ কী বলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট, ২০২৩

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের টাকা পাওয়া কি সহজ হবে?- কর্তৃপক্ষ কী বলছে

বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবার পর এনিয়ে মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ যেমন দেখা যাচ্ছে, একইসাথে এটা কতটা কার্যকর এবং ঝামেলামুক্ত হবে সেই প্রশ্নও করছেন অনেকে।

নিয়মানুযায়ী কারও বয়স ১৮ বছর থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হলে অনলাইনে এই স্কিমে নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন। সুবিধাভোগীর বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি হওয়ার পর আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সীরা ন্যূনতম ১০ বছর পর্যন্ত চাঁদা দেয়া সাপেক্ষে এই সুবিধা পেতে পারেন।

তবে কোটি কোটি মানুষের নামে পৃথক হিসাব খোলা, সেটি স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালনা করা হবে কিনা, ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কিস্তি দিয়ে কোন ঝামেলা ছাড়াই পেনশন পাওয়া যাবে কি না সেই সংশয়ে আছেন অনেক গ্রাহক।

সেইসাথে বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা পাওয়ার বিষয়ে এখনও নেতিবাচক মনোভাব তো আছেই। বিশেষ করে সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশনের টাকা নিয়ে হয়রানির নজির কম নয়।

নতুন পেনশন স্কিমে সেই দুর্ভোগের পুনরাবৃত্তি হয় কিনা, সেই চিন্তায় আছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা জাহানারা বেগম। এ কারণে, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এখনো নিজের নামে স্কিমটি চালু করার সাহস করছেন না তিনি।

তিনি বলেন, “এক সময় দেখা যাবে কোটি কোটি লোক স্কিম খুলছে। আমি আজকে স্কিম খুললে মিনিমাম দশ বছর পরে পেনশন পাবো। বাংলাদেশের কোন সরকারি অফিসে গেলে তো ভোগান্তি হয়ই, টাকার পয়সার বিষয় হলে আরও হবে। তখন দেখা যাবে পেনশনের জন্য সরকারি অফিসে ছুটতে ছুটতে, টাকা দিতে দিতে আমার আসল টাকাটাই থাকছে না।”

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, ভোগান্তি যাতে না হয় সেই ব্যবস্থা তারা করেছেন।

সেবা পাওয়ার দুর্ভোগ কাটবে?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, পেনশন পেতে দীর্ঘসূত্রিতা বা হয়রানির কোন সুযোগ নেই, কারণ সব গ্রাহকদের থেকে কিস্তি সংগ্রহ এবং পেনশন দেয়ার সম্পূর্ণ লেনদেন অনলাইনে সম্পন্ন হবে। সেটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।

কিস্তি দাতার বয়স ৬০ বছর হওয়ার পর তার ব্যাংক হিসাবে অথবা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে মাসিক পেনশন পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।

মি. মোস্তফা বলেন, “পেনশনের আর্থিক লেনদেন সব কিছুই হবে অনলাইনে। গ্রাহকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আমাদের কাছে আছে, তার অ্যাকাউন্টটি পেনশন দেয়ার উপযুক্ত হলে সেই অ্যাকাউন্টে পেনশনের টাকা অটোমেটিক চলে যাবে। কোন ব্যক্তির সাথে কথা বলা লাগবে না। ”

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে গ্রাহক তার ইউনিক পেনশন আইডি দিয়ে প্রবেশ করে বছর শেষে মুনাফাসহ জমা হওয়া টাকার পরিমাণ জানতে পারবেন।

এছাড়া পেনশন তহবিলে সুবিধাভোগীদের যে অর্থ জমা হবে, সেখান থেকে কোন অর্থ সরানো হবে না, এমনকি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের যাবতীয় পরিচালন ব্যয় সরকারের আলাদা বরাদ্দ থেকে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এর আগে সরকারি পেনশন পেতে হয়রানি দূর করতে ‘পেনশন সহজীকরণ নীতিমালা-২০২০’ জারি করা হয়েছিল। ওই নীতিমালা অনুযায়ী লেনদেনের সব কাজ বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে করতে হয়।

মি. মোস্তফা বলেন, “পেনশন নিতে এক সময় দুর্ভোগ ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এমন কোন অভিযোগ শুনবেন না। কেননা আমরা এবং এই টাকার লেনদেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হতে হয়। অ্যাকাউন্টসে একটি পেনশনের ফাইল ১০ দিনের বেশি রাখার নিয়ম নেই।”

অর্থ বিভাগের আওতায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ নামে আলাদা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন এ সর্বজনীন পেনশন স্কিমটি পরিচালিত হচ্ছে।

এই স্কিমটি মূলত প্রবাসী বাংলাদেশি, বেসরকারি চাকুরীজীবী, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং স্বল্প আয়ের বিশাল জনগোষ্ঠীকে আর্থিক নিরাপত্তা দিতে চালু করেছে সরকার।

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মীরা এই কর্মসূচির বাইরে থাকবেন। কারণ তাঁরা এরই মধ্যে পেনশন সুবিধা পাচ্ছেন।

আগ্রহীরা অনলাইনে নিবন্ধন করলেই পেনশন স্কিমে চালু করতে পারবেন, এজন্য কোন সরকারি অফিসে কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। শুধু অনলাইনে নিবন্ধন করে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মাসিক টাকা জমা দিলেই হবে।

পেনশন তহবিলের টাকা বিনিয়োগ হবে কোথায়

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, স্কিমটি চালু হওয়ার তিন দিনের মাথায় অর্থাৎ ১৯শে অগাস্টের মধ্যে এতে যুক্ত হয়েছেন ৪৩৯০ জন। আবেদন জমা পড়েছে ৪০ হাজারের মতো।

তবে সুবিধাভোগীরা কিস্তি বাবদ যে অর্থ দেবে সেটার তহবিল ব্যবস্থাপনা কেমন হবে, কীভাবে এবং কোথায় পেনশন তহবিল বিনিয়োগ হবে, লভ্যাংশ কীভাবে বণ্টন করা হবে, সেগুলো নিয়ে অস্পষ্টতার মধ্যে থাকার কথা জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

এ বিষয়ে আলাদা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বিধিমালা তৈরির কথা জানিয়েছেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা।

তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে, এই তহবিল সরকারি বন্ড বা ট্রেজারি বিলে বিনিয়োগের কথা রয়েছে। যেসব বিনিয়োগে ঝুঁকি কম সেদিকেই যাবো। যদি ফান্ড আরও বড় হয় তাহলে উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হতে পারে। এটা সময়ের পরিক্রমায় হবে। এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট বিধিমালা তৈরি হচ্ছে, সেই মোতাবেক সব হবে।”

বিধিমালাটি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে তিনি জানান।

তবে এই পেনশন তহবিলের অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

অতীতে সরকারি বা আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের তহবিলের অর্থ অব্যবস্থাপনার নজির রয়েছে তাই যারা সুবিধাভোগীর টাকা বিনিয়োগ করবেন, তাদের স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে বলে তিনি জানান।

মি. মোয়াজ্জেম বলেন, বিনিয়োগগুলো এমন জায়গায় করতে হবে যেখানে ঝুঁকি কম কিন্তু ভালো রিটার্ন আসবে। এক্ষেত্রে পুঁজি-বাজারে কোন অবস্থাতেই বিনিয়োগ করা যাবে না। তারচেয়ে বন্ডে বিনিয়োগ অনেকটাই নিরাপদ। এতে নির্দিষ্ট সময়ে রিটার্নের টাকা পাওয়া যাবে, যা দিয়ে মানুষের পেনশন পরিশোধ করা যাবে।

তবে কম ঝুঁকি-সম্পন্ন খাত-গুলোয় রিটার্ন কম হয়। সেক্ষেত্রে গ্রাহকদের বাড়তি যে অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রুতি সরকার করেছে সেটা রাজস্ব থেকে পরিশোধ করতে হতে পারে, যা সরকারের ওপর বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এক্ষেত্রে একটি ব্যবস্থাপনা দল গঠন করার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। এই পেনশন স্কিমে শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তা কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় না করিয়ে এখানে বেসরকারি খাতের দক্ষ কর্মকর্তাদেরও যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বিশেষ করে যারা বিনিয়োগ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন।

“বিনিয়োগে মনোযোগী হতে হবে। যাতে ঘাটতি পুষিয়ে নেয়া যায়। না হলে যে পরিমাণ রিটার্ন আসার কথা তেমনটা আসবে না। নাহলে সরকারের জন্য এই পেনশন স্কিম আরেকটি বোঝা হয়ে আবির্ভূত হতে পারে। সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারলে এ পেনশন তহবিল থেকে যা আয় হবে তা দিয়েই মাসিক পেনশন দেওয়া সম্ভব। তার জন্য প্রয়োজন সতর্কতা এবং সুশাসন।” তিনি বলেন।

মূল্যস্ফীতির সাথে সমন্বয় হবে কীভাবে

উচ্চ মূল্যস্ফীতি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে পেনশনে প্রাপ্ত অর্থ পরবর্তীতে জীবনযাত্রার খরচের সাথে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে প্রশ্ন আছে সে নিয়েও।

এক্ষেত্রে গ্রহীতাদের প্রাথমিকভাবে এই স্কিমকে কোন লাভজনক বিনিয়োগের খাত না ভেবে বরং সামাজিক সুরক্ষার জায়গা থেকে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন ড. গোলাম মোয়াজ্জেম।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সরকারই জমা টাকার গ্যারান্টর। সরকার নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় এখানে অর্থ বুঝে পেতে কোন সমস্যা হবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

আর্থিক লেনদেনে সরকারের এই নিরাপত্তার বিষয়গুলো প্রচারের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

তিনি জানান, সরকার আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছে পেনশনটি কবে, কি পরিমাণে দেয়া হবে, অর্থাৎ ফিক্সড রেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে গ্রাহকদের কোন ঝুঁকি নেই। এ নিয়ে আরও স্পষ্ট তথ্য প্রচার হওয়া প্রয়োজন।

তার মতে, সরকার মূলত ব্যাংক রেট এবং সঞ্চয়পত্র রেট এই দুটার মাঝামাঝি রেট ধরে এই হিসাবটি করেছেন।

বর্তমান মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি একটি অস্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে যে মূল্যস্ফীতি থাকে অর্থাৎ পাঁচ শতাংশের আশেপাশে। সেক্ষেত্রে আশা করা যায় যে, পেনশন রেট এর চাইতে বেশি অন্তত ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে থাকবে।

এ ব্যাপারে পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন পেনশনের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি সমন্বয়ের হিসাব গতানুগতিক নিয়ম ধরে নয় বরং একটি সম্ভাব্য সংখ্যা ধরে হবে বলে তিনি জানান।

যেমন বেসরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রগতি স্কিমে মাসিক দুই হাজার টাকা কিস্তি দিলে সর্বনিম্ন ১০ কিস্তি দিলে প্রতি মাসে ৩০৬০ টাকা পেনশন পাওয়া যাবে। এখানে পেনশন বাবদ যে হিসাব দেয়া হয়েছে এটি সম্ভাব্য প্রাপ্য অর্থ বলে জানিয়েছেন তিনি। যা কম-বেশি হতে পারে।

“সম্ভাব্য এই দামটি দেখানোর সময় লাভ ও ডিসকাউন্ট দুটো রেট ধরে করা হয়। প্রতি মাসে সম্ভাব্য এই টাকা গ্রাহক পেতে পারে। আজকে ২০০০ টাকা জমা দিয়ে ২০ বছর পর গ্রাহক প্রতিমাসে ঠিক কতো পাবেন সেটা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে না।” তিনি বলেন।

নতুন এই পেনশন স্কিমে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র সোনালী ব্যাংককে লেনদেনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে গ্রাহকরা যেন নিজ নিজ ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

তার মতে, সব ব্যাংক অন্তর্ভুক্ত হলে গ্রাহকদের হিসাব চালাতে যেমন সুবিধা হবে। তেমনি এতে একক কোন ব্যাংক নির্ভরতা এবং একটি ব্যাংকের আধিপত্য তৈরি হবে না। ওই ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তার অনৈতিক সুবিধা নেয়ার সুযোগ বন্ধ হবে। পেনশনারদের কোন বাধ্যবাধকতায় পড়তে হবে না।


রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ ব্যাংকে নতুন এমডি নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর, ২০২৪

রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ ব্যাংকে নতুন এমডি নিয়োগ

সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেপলমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক- এ রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ ব্যাংকে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেপলমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নতুন এমডি ও সিইও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এ চার প্রতিষ্ঠানে এমডি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে।

উপব্যবস্থাপনা (ডিএমডি) পরিচালক থেকে এমডি পদে পদোন্নতি ও পদায় দিয়ে সোমবার (২১ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জরি করা হয়েছে। আর বাকি ৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগের সুপারিশ করে পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি মো. শওকত আলী খান। জনতা ব্যাংকের ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি মো. মজিবর রহমান।

অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন ব্যাংকটির সাবেক ডিএমডি মো. আনোয়ারুল ইসলাম। রূপালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ডিএমডি মো. আ. রহিম।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডি ও সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. জসীম উদ্দিন এবং বেসিক ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন জনতা ব্যাংকের আরেক সাবেক ডিএমডি মো. কামরুজ্জামান।

এছাড়া সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি মীর মোফাজ্জল হোসেনকে আনসারি-ভিডিপি ব্যাংকের এমডি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি সালমা বানুকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এমডি, সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি সঞ্চিতা বিনতে আলীকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি চানু গোপাল ঘোষকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি হিসেবে পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়েছে।

এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ বাণিজ্যিক ব্যাংক- সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকে শেখ হাসিনা সরকারের সময় তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত এমডি ও সিইওদের চুক্তির অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করে সরকার।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর এসব ব্যাংকের এমডিদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করতে চেয়ারম্যানদের চিঠি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। তারপর থেকে এসব ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদ শূন্য ছিলো।

যোগাযোগ করা হলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করা অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, ৪টি ব্যাংকের ডিএমডি-কে পদোন্নতি দিয়ে এমডি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আর বাকি ৬টি ব্যাংকের এমডি নিয়োগের জন্য সুপরিশ করে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এখন পরিচালনা পর্ষদ তাদেরকে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেবেন।


পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা ; লাগাম টানতে মাঠে নামছে ভোক্তা-অধিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা ; লাগাম টানতে মাঠে নামছে ভোক্তা-অধিকার

বার্তাবেলা: পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরই বাংলাদেশের বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। হু হু করে বাড়ানো হচ্ছে এই কৃষিপণ্যটির দাম। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নামছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভোক্তা-অধিকার জানিয়েছে, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ঢাকাসহ সারাদেশে অভিযান চালানো হবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। যা গতকাল শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়। ভারত সরকারের এ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বাজারে রাতারাতি পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে শুরু করে।

সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দেশে আমদানি করা পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। ফলে ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় তেমন প্রভাব পড়বে না।

ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয় বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, নিজেদের দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে পণ্যটি রপ্তানির ওপর আগামী মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

ভোক্তা-অধিকারের বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ঢাকায় অধিদপ্তরের চারজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে চারটি পৃথক টিম বাজার অভিযান পরিচালনা করবে। এছাড়া দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করবে।

ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ অক্টোবর টনপ্রতি পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ দেওয়া হলেও সময়সীমার শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহ আগেই নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।

এদিকে, ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরই দেশের বাজারে হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১২০ টাকা। রাজধানীর খুচরা বাজারে এখন এ পেঁয়াজের কেজি ২৪০ টাকা। আর কেজিতে ৯০ টাকা বেড়ে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। কেউ কেউ ২২০ টাকাও দাম হাঁকছেন।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রামপুরা কাঁচাবাজার, উত্তর বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা, গোদারাঘাট, উলন বাজারসহ কয়েকটি বাজারে ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।