শেয়ার বাজার

ফের ঢাকাসহ ৪ বিভাগে
ফের ঢাকাসহ ৪ বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ, বুধ-বৃহস্পতি বৃষ্টির আভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

ফের ঢাকাসহ ৪ বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ, বুধ-বৃহস্পতি বৃষ্টির আভাস

বার্তাবেলা ডেস্ক: সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা আরও কয়েক ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। আরও তীব্র হয়েছে শীত। এতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত। শীতের তীব্রতা বেড়েছে নগরেও। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো শীতে জবুথবু রাজধানীবাসীও।

দেশের চার বিভাগ এবং চার জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা বেড়ে শীতের তীব্রতা কমতে পারে। এছাড়া আগামী বুধ এবং বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। একদিন আগে যা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনাজপুর ও বদলগাছীতে।

ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকা বিভাগ শৈত্যপ্রবাহের আওতায় থাকলেও শুধু ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রাই ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রয়েছে। ঢাকা বিভাগের অন্যান্য স্টেশনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশে রোদের দেখা মিলেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে তাকে বলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তাকে বলে অতিতীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মঙ্গলবার পুরো ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা বিভাগসহ শ্রীমঙ্গল, কুমিল্লা, ভোলা, বরিশাল জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তিনি জানান, দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

তিনি আরও বলেন, আগামী বুধ এবং বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাতেই খুলনার সাতক্ষীরার দিকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বুধ ও বৃহস্পতিবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের দিকে এবং ঢাকা বিভাগের দক্ষিণাংশের ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জের দু/এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কেটে যেতে পারে জানিয়ে আব্দুর রহমান বলেন, কিছু কিছু জায়গায় কুয়াশা পড়বে, আবার কিছু কিছু জায়গায় রোদ থাকবে। দেশের উত্তরাঞ্চল আজ সকাল থেকেই পরিষ্কার। তবে দেশের পূর্বাংশের কুমিল্লা নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, সিলেটের দিকে কুয়াশা রয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জায়গায় কুয়াশা থাকবে, আবার বিভিন্ন জায়গায় আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে।

Dummy Ad 1

গোপালগঞ্জের যদুপুরে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে রেহাই পায়নি সৌদি প্রবাসী হাচিবুর কাজী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ, ২০২৪

গোপালগঞ্জের যদুপুরে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে রেহাই পায়নি সৌদি প্রবাসী হাচিবুর কাজী

গোপালগঞ্জ  প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের সেই আলোচিত আদম ব্যপারী আল-আমিন কাজীর স্ত্রীর মোহসিনা আক্তারের দেওয়া মিথ্যা মামলার শিকার সৌদি আরবের মদিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হানিফ কাজী সহ তার পরিবারের লোকজন। 

সরেজমিনে গণমাধ্যম কর্মীদের এক ছায়া তদন্তে পাওয়া যায়। মহোসিনা আক্তার বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ আদালতে যে মামলাটি করেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তার স্বামী আল-আমিন কাজী, বিদেশে আনা-নেওয়া ও প্রতারনার দায়ে গোপালগঞ্জ আদালত তাকে জেলে প্রেরণ করেন। স্বামীর জেলে যাওয়াটা মেনে নিতে না পেরে এই মামলাটি দায়ের করেন তিনি। মামলার দেওয়া ৫নং আসামী হাসিবুর কাজী সৌদি প্রবাসী। গোপালগঞ্জ আদালতে যখন মামলাটি হয় তখন হাসিবুর সৌদি অবস্থান করছিলেন। মামলার পরে সে বাংলাদেশে আসেন।

এ ব্যপারে সৌদি প্রবাসী হাসিবুর কাজী বলেন, আমি সৌদি আরবে চাকরি করি আমি ছুটিতে বাড়ি এসে শুনলাম আমার নামে মামলা হয়েছে। আমি বিদেশে থেকেও আল-আমিন কাজীর স্ত্রীর দেওয়া মামলায় ভুগছি এটা কোন আইন।

এ ব্যপারে মোহসিনা আক্তারে আপন চাচাতো দেবর আব্দুর রহমান কাজী, সামাদ কাজী ও আল-আমিন কাজী গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, এখানে কোথাও কোন গন্ডগোল হয় নাই তারা যে মামলা করেছে সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট আর মামলার পাঁচ নং আসাসী হাসিবুর মামলা হবার পর বিদেশ থেকে এসেছে।

কিছুদিন পূর্বে এই মামলার বাদী মোহসিনা আক্তারে স্বামীর বিরুদ্ধে আদম ব্যাপারী ও মানব পাঁচারকারী  মো. ওহাব কাজীর ছেলে মো. আল-আমিন কাজীর বিরুদ্ধে বিদেশ পাঠানোর নামে ও সৌদি লোক নিয়ে তাদের সাথে প্রতারণারসহ নানারকম হয়রানি করছে বলে সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। তারই ফলশ্রুতিতে সে জেল খেটে বের হয়। ধারনা করা হচ্ছে তার স্বামীর জেলে যাওয়াকে মেনে নিতে না পারায় এই মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপকক্ষকে হেও প্রতিপন্ন কারাই মূল উদ্দ্যেশ। গ্রামবাসীরা এই মামলার সাথে জড়িত বাদি সহ সকলের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবী জানান।


ঢাকার ৮০ শতাংশ রেস্তোরাঁ যেন বোমা তৈরির কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৫ মার্চ, ২০২৪

ঢাকার ৮০ শতাংশ রেস্তোরাঁ যেন বোমা তৈরির কারখানা

ঢাকার ৮০ শতাংশ রেস্তোরাঁ যেন বোমা তৈরির কারখানা। নগরীর ৫ হাজার রেস্তোরাঁর মধ্যে অগ্নিনিরাপত্তা সনদ আছে হাজারখানেকের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি বহুতল ভবনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ রেস্তোরাঁ থাকার কথা থাকলেও মানছে না কেউ। 

ধানমন্ডির গাউসিয়া টুইনপিক ভবনটি পরোটাই ঠাসা রেস্তোরাঁ দিয়ে। ওঠা-নামার একমাত্র পথ লিফট। ভেতরে দুটি সিড়ি থাকলেও একটি বন্ধ গোডাউনে, অন্যটি দখলে সিলিন্ডারে। বারান্দা থাকলেও তা কাচে ঢাকা। এ যেন পুরোই বোমার কারখানা।

টুইনপিক ভবনের নকশা করেন স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ। বেইলি রোড ট্রাজেডির পর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে ভবনটি এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান এই স্থপতি। নিজের সৃষ্টির এমন অবস্থা দেখে বিষ্মিত তিনি। দাবি করেন, অফিসের জন্য করা ভবন রেস্তোরাঁ বানিয়ে সব কিছুই পাল্টে ফেলেছেন ভবন মালিক ও ব্যবস্যায়ীরা।

মুস্তাফা খালিদ পলাশ বলেন, এটি ডিজাইন করেছিলাম বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে। আমি কোনোভাবেই সেটি কেমিক্যাল গুদাম হিসেবে ডিজাইন করেনি।

একই অবস্থা ধানমন্ডিসহ রাজধানীর বেশিরভাগ ভবনের। রাজধানীতে প্রকৃত অর্থে কেমন ভবন নির্মাণ হওয়া উচিত? এ প্রশ্নে এই স্থপনি জানান, সর্বোচ্চ ১০ ভাগ রেস্তোরাঁ থাকতে পারবে একটি সুউচ্চ বানিজ্যিক ভবনে।

তিনি বলেন, ভবনে রেস্টুরেন্ট দেয়ার ক্ষেতে একটি মাত্রা নিদির্ষ্ট করে দেয়া উচিত। ১০০ পার্স্টেন্ট কোনোভাবেই নয়। এই কালাচার আমি কোথাও দেখিনি। সাম্প্রতিক বাংলাদেশে শুরু হয়েছে। 

তাহলে এগুলো দেখবে কারা? সরকারের কয়েকটি সংস্থা এর তদারকির দায়িত্বে থাকলেও শুধু খাবারে ভেজালবিরোধি অভিযানেই সারা। ফায়ার সার্ভিসের সাবেক ডিজি ব্রি.জে. আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ বলছেন, সরকারি সংস্থার উদাশীনতা ও আইন না মানার প্রবনতা বাড়াচ্ছে সংকট।

রাজধানীর ৫ হাজারের বেশি রেস্তোরাঁ থাকলেও ফায়ার সার্টিফিকেট আছে হাজার খানিকের। অন্যান্য সংস্থার অনুমোদনের ধারধারে না কেউ।


হরিপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ, ২০২৪

হরিপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

হরিপুর উপজেলা শহীদ মিনারের  সামনে সকাল ৫.০৪ মি. ৩১ (একত্রিশ) বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা,  বিধি অনুসরণ পূর্বক জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুস্পস্তবক অর্পণ দোয়া মাহফিল শেষে   স্বাধীনতা র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা  ও জাতীয় দিবস ২০২৪ পতাকা উত্তোলন ডিসপ্লে প্রদর্শন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,  হরিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হরিপুর  উপজেলা শাখার সভাপতি  অধ্যক্ষ মো,জিয়াউল হাসান মুকুল।

আরও উপস্থিত ছিলেন হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ শেখ, কৃষি অফিসার মো,রুবেল হোসেন, ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান, হরিপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হরিপুর ঠাকুরগাঁও ।  উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোতাহারা পারভীন সুমি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আলমগীর।সহ-সভাপতি বাবু নগেন কুমার পাল,মো,আবদুল জলিল ও মো,আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো,মনোয়ারুল ইসলাম রিপনসহ বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধানগন, শিক্ষক ও স্থানীয়  বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।   

স্কুলের শিক্ষাথীরা কুজকাওয়াজ ও নেচে গেয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয়  দিবস -২০২৪ উদযাপন করে । এর আগে শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বীরমুক্তিযোদ্বা , বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার - ভিডিপি ,ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃক কুচকাওয়াজ অভিবাদন গ্রহণ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সমাবেশ,জাতীয় সংগীত পরিবেশন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ফয়েজ মোঃ জামান, সহকারী শিক্ষক হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিপুর- ঠাকুরগাঁও।

আরো উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের  ব্যক্তিবর্গসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।