শেয়ার বাজার

রাজধানীতে ছাত্রদলের লিফলেট বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

রাজধানীতে ছাত্রদলের লিফলেট বিতরণ

বার্তাবেলা ডেস্ক: রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান জানিয়ে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ শিরোনামে এ লিফলেট বিতরণ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর গ্রিনরোড ও উত্তরায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম হাসান মাহমুদ রিপন প্রমুখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সদস্য মো. অলিউজ্জামান সোহেল, মাকসুদা রিমা, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের মো. সালাহউদ্দিন, রবিউল আউয়াল ভূইয়া রবি, রাজন মাহমুদ রাজ, ছাত্রনেতা মো. জসিম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কাওছার আহমেদ রনি, সাকিব সরকার মাসুম, রায়হান উল ইসলাম, সেলিম মাহমুদ, সাজ্জাদ হোসেন অনিক, সুলতানা আক্তার মিম, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের ইব্রাহিম কার্দি, পিয়াল হাসান, মো. মোজাম্মেল হক, রাকিবুল হাসান রাকিব, শামীম শেখ, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সাদিকা তামান্না রেমি, বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রদলের তাহমিনা আক্তার প্রমুখ।


Dummy Ad 1

শনিবার বিএনপির কালো পতাকা মিছিল: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

শনিবার বিএনপির কালো পতাকা মিছিল: রিজভী

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ডামি নির্বাচনে অবৈধ সংসদ বাতিলের এক দফা দাবিতে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোও এ মিছিল করবে।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিএনপির প্রস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শনিবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কর্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু করবে বিএনপি। মিছিলে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য ও সিনিয়র নেতারা। এছাড়া দলটির অঙ্গ, সহযোগী ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা অংশ নেবেন।

অন্যদিকে, দুপুর সাড়ে ১২টায় বিজয় নগর পানির ট্যাংক সামনে থেকে মিছিল শুরু করবে ১২ দলীয় জোট। বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব সামনে থেকে শুরু করবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।

বিকেল সাড়ে ৩টায় মতিঝিল নটরডেম কলেজ উল্টো দিকে গণফোরাম চত্বর থেকে শুরু করবে গণফোরাম ও পিপলস পার্টি। বেলা ১১টা বিজয় নগর পানির ট্যাংক সামনে থেকে শুরু করবে এলডিপি। বিকেল সাড়ে ৩টায় বিজয় নগর দলীয় কার্য়ালয় সংবাদ সম্মলেন করবে এবি পার্টি।


১৪ দলের শরিক গণতন্ত্রী পার্টির সব প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

১৪ দলের শরিক গণতন্ত্রী পার্টির সব প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল

বার্তাবেলা: গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে দ্বন্দ্বের কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি জানায়, এবার নির্বাচনে দলটির ১২ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মাহবুব আলম শাহ্ সই করা চিঠিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় ইসি।

চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ‘গণতন্ত্রী পার্টি’ নামীয় দলটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক পৃথকভাবে দাখিল করা কমিটি কমিশন কর্তৃক না-মঞ্জুর হয়েছে। সুতরাং গণতন্ত্রী পার্টি নামীয় রাজনৈতিক দলের অনুমোদিত কোনো কমিটি বিদ্যমান নেই।



বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি শেখ সেলিমের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি শেখ সেলিমের

বার্তাবেলা ডেস্ক: বিএনপি-জামায়াতকে উগ্র সন্ত্রাসী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলেছেন সরকারদলীয় সিনিয়র সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এরা রাষ্ট্রের শত্রু, স্বাধীনতার শত্রু। সাম্প্রদায়িকতা গণতন্ত্রের শত্রু। সন্ত্রাসী, জঙ্গি, স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতকে নিষিদ্ধের দাবি করছি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

শেখ সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আপনিই এটা পারবেন। বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধীদের নিষিদ্ধ করলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।

এ সংসদ সদস্য বলেন, বাংলাদেশ ও দেশের স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশে কোনো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যাতে রাজনীতি করতে না পারে সেজন্য এ দাবি করছি। তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। এরা যেন রাজনীতির নামে বাংলাদেশে খুন, সন্ত্রাস ও অরাজকতা করতে না পারে। আর যাকেই ধরতে পারবেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোনো দয়া-মায়া দেখানোর সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এরা জঙ্গি, সন্ত্রাসী, স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী। তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তারা সংবিধানকে তোয়াক্কা করে না। যারা সংবিধান, নির্বাচন মানে না তারা আবার কী রাজনীতি করবে।

তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যকারীদের সন্ধানে কমিশন গঠনের প্রস্তাব করে বলেন, কারা এর পেছনে জড়িত ছিল তা বেরিয়ে আসবে। যারা বঙ্গবন্ধুকে মারতে মারে তারা যেকোনো ঘটনা ঘটাতে পারে।

দেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত শক্তি আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান লন্ডনে বসে বিশ্বের বড় সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করে। কীভাবে বাংলাদেশে অস্থিরতা বৃদ্ধি করা যায়, উন্নয়নের অব্যাহত ধারা বন্ধ করতে ষড়যন্ত্র করছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে শেখ সেলিম বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে অগ্রসর হন তখন অতি বিপ্লবী, প্রতিবিপ্লবী... স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা জড়িত ছিল। উগ্রপন্থি সিরাজ সিকদার, সর্বহারা হকিত্বোহা, পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি, লাল পতাকা বাহিনীর থানা লুট, ব্যাংক লুট, পাটের গুদামে আগুন, মানুষ হত্যা। ৭ জন সংসদ সদস্যকেও হত্যা করা হয়। কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে গণবাহিনী ও জাসদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে সশস্ত্র আক্রমণ করে। কর্নেল ওসমানী গণতন্ত্র বলে বুক ফাটিয়ে ফেলতো, সে খুনি মোশতাকের সামরিক উপদেষ্টা হয়। গণবাহিনীর প্রধান কর্নেল তাহের বাহিনী রেডিও স্টেশনে গিয়ে খুনিদের সমর্থন জানায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার গণবাহিনী-জাসদ এরা বৈজ্ঞানিক সমাজন্ত্রের কথা বলে বঙ্গবন্ধুকে বিব্রত করার চেষ্টা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর চারপাশে যে শক্তিগুলো ছিল সেখান থেকে ষড়যন্ত্র না হলে বঙ্গবন্ধুর গায়ে কেউ হাত দিতে পারতো না। বড় একটা চক্র বঙ্গবন্ধুর আশপাশে ঘুরে তাকে বিভ্রান্ত করেছে।

তিনি বলেন, কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী এখনো আইনের শাসন ও মানবাধিকারের কথা বলে টেলিভিশনের পর্দা ফাটিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এসব বুদ্ধিজীবীরা সেদিন কোথায় ছিলেন?

আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র এমপি বলেন, জিয়া ছিল আইএসআই-এর এজেন্ট। জিয়ার জন্ম পাকিস্তানে। তার পড়াশোনাও পাকিস্তানে। ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চলাকালে আইএসআই-এর এজেন্ট হিসেবে জিয়াকে বাংলাদেশ পোস্টিং দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধের জন্য বিএনপি-জামায়াত একের পর এক নাশকতা শুরু করে। লন্ডনে বসে তারেক জিয়া অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে জনগণ তার জবাব দিয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে চায়।