শেয়ার বাজার

রাজনৈতিক সহিংসতায় সংকট বাড়বে অর্থনীতিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

রাজনৈতিক সহিংসতায় সংকট বাড়বে অর্থনীতিতে

সিসিএন ডেস্কঃ  গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সমকালকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক কালের রাজনীতি সবাইকে এমনভাবে আচ্ছন্ন করে রেখেছে, সরকারও অর্থনীতির সমস্যার দিকে যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছে না। এর কারণে অর্থনীতি যতটা খারাপ হওয়ার কথা ছিল, তার চেয়ে বেশি হয়েছে। এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে দায়িত্বশীলদের মনোযোগ না দেওয়া, সংকটকে অবজ্ঞা করা ও অবহেলার কারণে।’ ভরসার জায়গা রেমিট্যান্সেও চোট লেগেছে। সেপ্টেম্বরে ৪১ মাসের সর্বনিম্ন ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। ডলারের দাম বৃদ্ধিতে চলতি মাসে কিছুটা বেড়েছে রেমিট্যান্স। যদিও তা আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশি নয়। বিদেশি বিনিয়োগ গত অর্থবছরে কিছুটা বাড়লেও, তাতে অন্যান্য খাতের ঘাটতি দূর হওয়ার মতো নয়।

চলমান অবস্থাকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ড. দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উত্তরণ ও স্থিতিশীলতা পুরোপুরিভাবে রাজনৈতিক উত্তরণ ও স্থিতিশীলতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে উত্তরণ না হলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া জটিল থেকে জটিলতর হবে। লক্ষ্য করছি, রাজনীতি এত বেশি আচ্ছন্ন করছে যে, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে আর কোনো সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেবে না। এটা হোক মূল্যস্ফীতি বা মুদ্রার বিনিময় হার বিষয়ে বা শুল্ক সম্পর্কিত, অথবা খেলাপি ঋণ আদায় করে সম্পদ আহরণের বিষয়ে। এই অবহেলা ও গড়িমসির কারণে সার্বিকভাবে অর্থনীতি জিম্মি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ পরিস্থিতি নতুন নয়। অভিজ্ঞতা বলছে, এ অবস্থা চলতে থাকলে বৈদেশিক বাণিজ্য থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং মূল্যস্ফীতিতে এর প্রভাব পড়ে। এমনিতেই অর্থনীতি নাজুক অবস্থায়। যে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে তারও সঙ্গিন হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখছি, এটাই সবচেয়ে বেশি দুঃখের বিষয়।

রপ্তানির অনুপাতে আমদানি বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় ডলার সংকটে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে অর্থনীতিতে কঠিন সময় চলছে। অর্থনীতির সব সূচকেই অবনতির মুহূর্তে নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা সংহিসতায় রূপ নিয়েছে। এতে ক্ষতি আরও ব্যাপক হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

তারা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন ঘিরে কোনো সমঝোতা না হলে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। নির্বাচনের আগে সহিংসতা এড়াতে বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে শর্তহীন আলাপ-আলোচনাকেই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ মনে করছেন তারা।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা এ বি আজিজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এতদিন যে অস্থিরতা ছিল, তা সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়। এতে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হবে। দেশে পরিবহন ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে। মোট কথা অর্থনৈতিক পরিস্থিতির নিশ্চিত করেই আরও অবনতি হবে।’

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি এবং সমমনা দলগুলোর মহাসমাবেশ ঘিরে রাজধানীর নয়াপল্টনের আশপাশ এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিএনপি কর্মীদের হামলায় নিহত হয়েছেন একজন পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া নিহত হন এক যুবদল নেতা। মহাসমাবেশ পণ্ডের প্রতিবাদে রোববার দেশজুড়ে হরতাল করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো। সেদিন প্রাণ গেছে অন্তত তিনজনের।

আজ মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি, জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো। বিরোধী দলগুলো সর্বাত্মক অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সরকার এবং ক্ষমতাসীন দল তা প্রতিরোধের কথা বলছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে তারা।

২০১৩ এবং ২০১৫ সালেও একই পরিস্থিতি হয়েছে। সেই সময়ে হরতাল-অবরোধে পরিবহন খাত বিঘ্নিত হয়েছে আগুন সন্ত্রাসে। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির হিসাব অনুযায়ী সে সময়ে অন্তত ৫ হাজার যানবাহন পুড়িয়ে দিয়েছিল হরতাল-অবরোধের ডাক দেওয়া বিএনপি ও জামায়াত।

এবার পরিস্থিতি একই দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৩ ও ২০১৫ সালে অর্থনীতি সবল ছিল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেছে। করোনার পর ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাতে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ বিশ্ব ব্যবস্থাকে আরও টালমাটাল করেছে।

বাংলাদেশে গত দুই বছরে ৪৮ বিলিয়ন থেকে কমে ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৮ বিলিয়নের কাছাকাছি নেমে এসেছে। আইএমএফের কাছে ধার করতে হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। আমদানির জন্য ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে ডলারের সংকট চলছে কয়েক মাস ধরেই।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ নাকাল। রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরুর তিন দিনে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা হয়েছে। দামে লাগাম টানতে না পেরে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। একই অবস্থা ডিমের ক্ষেত্রে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে গত দুই মাসে একবারও বিক্রি হয়নি পেঁয়াজ, আলু, ডিমের মতো নিত্যপণ্য। অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবজি চাষ। সবজির বাজারে অনেক দিন ধরেই আগুন। কাঁচা পেঁপে ছাড়া অন্য সবজি ৮০ টাকা কেজির কমে মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হলে নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রাজনৈতিক সংকট সমাধানে এবং অর্থনীতি যেন আরও কঠিন পরিস্থিতিতে না পড়ে, সে জন্য প্রাকৃতজনের জেগে ওঠা প্রয়োজন বলে মনে করেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও লেখক অধ্যাপক যতীন সরকার। তিনি সমকালকে বলেছেন, ‘সবাই সহিষ্ণু আচরণ করুক। সবাই আলোচনায় বসুক। শর্তমুক্ত হয়ে বসুক। তাহলেই সমস্যার সমাধান হবে।’

Dummy Ad 1

ঈদে দান-খয়রাতের আশায় মানুষ ঢাকায় আসে : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদে দান-খয়রাতের আশায় মানুষ ঢাকায় আসে : ওবায়দুল কাদের

রাজধানী ঢাকায় এত ভিক্ষুক কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দান খয়রাতের আশায় ঈদের সময় মানুষ ঢাকা শহরে আসে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডি-৩২ জনগণের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সমন্বয় করে তেলের দাম কিছু হলেও কমিয়েছি। তাছাড়া জিনিসপত্রের দাম আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।

বিএনপির উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা বড় বড় কথা বলেন, মায়াকান্না করেন; তারা কি ভুলে গেছেন জিয়াউর রহমানের আমলে উত্তরবঙ্গের নারীদের পতিতাবৃত্তি করতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির নাকি ৮০ শতাংশ আসামি নির্যাতিত। যারা অপরাধের জন্য জেলে যাচ্ছে, তাদের জন্য কেন বিএনপির এত মায়াকান্না?

রাজধানীতে নিরাপত্তার বিষয়ে কাদের বলেন, তারাবির নামাজের পর সারা রাত ধরে ঈদের শপিং চলে। এখনো কারও নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে যারা নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে। তাদের এসব কথায় কান দেব না।


থার্টি ফার্স্ট নাইট ও বড় দিনে ডিজে পার্টি,গান-বাজনা,আতশবাজি নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩

থার্টি ফার্স্ট নাইট ও বড় দিনে ডিজে পার্টি,গান-বাজনা,আতশবাজি নিষিদ্ধ

বার্তাবেলা: থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে গান-বাজনা ও আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। এছাড়া যে কোনো ধরনের ডিজে পার্টিও নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।

বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

এসময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এছাড়াও ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হবে। এ দুটি বড় উৎসব ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টিম ডিএমপি রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নগরবাসীর কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই।

সভায় ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্রত্যেকটি চার্চে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থী ঢুকতে দেওয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রকার ব্যাগ নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।

এছাড়ও কোনো উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে কোনো গান-বাজনা ও আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। যে কোনো ধরনের ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ থাকবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইডি কার্ড ব্যতীত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার থাকতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকা ব্যবহার করতে হবে।

সমন্বয় সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।



যুবলীগ নেতার বাড়িতে আগুন, মা-চাচির মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

যুবলীগ নেতার বাড়িতে আগুন, মা-চাচির মৃত্যু

মৌলভীবাজারে যুবলীগ নেতার বাড়িতে আগুনের ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ায় তার মা ও চাচির মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি শেখ রুমেল আহমদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার যীশু তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মারা যাওয়ারা হলেন- শেখ রুমেল আহমদের মা মেহেরুন্নেসা (৭০) ও চাচি ফুলেছা বেগম (৬৫)।

মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার যীশু তালুকদার বলেন, আগুনের সময় বাড়িতে থাকা মেহেরুন্নেসা ও ফুলেছা বেগম ধোঁয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তাদের মৌলভীবাজার হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্য চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, ডুপলেক্স বাড়িটি বিভিন্ন জাতের বোর্ড দিয়ে ডেকোরেশন করা ছিল। বৈঠক খানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে অগুনের ঘটনা ঘটতে পারে।