বার্তাবেলা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নেই। এ নির্বাচন ঘিরে দেশের অন্য সংসদীয় আসনের মতো কুমিল্লা-১১ আসনেও জমে উঠছে নির্বাচনী রাজনীতি। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন, চালাচ্ছেন সীমিত প্রচারণা অন্যদিকে সিদ্ধান্তহীনতায় থাকা বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলের প্রার্থীদের প্রচারণা এখনো খুব একটা দৃশ্যমান নয়। অনেকটাই গোপনে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং চলমান অযৌক্তিক হরতাল অবরোধে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও ঝটিকা মিছিলসহ পিকেটিং করছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নিয়ে গঠিত জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই আসন টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের দখলে। বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক মুজিব। এবারও তিনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাই স্বর্বজনে গুঞ্জন উঠেছে এবারও ৪র্থ মেয়দে তিনিই দলের মনোনয়ন পাবেন এবং পূর্ণরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন।
এই নির্বাচনী আসনের কর্মীবান্ধব, জনবান্ধব, অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সাধারণ জনগণও সব সময় গরীব দুঃখী মানুষের চাওয়া পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে মোঃ মুজিবুল হক এমপি'র প্রতিই বার বার আস্থা রেখেছে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের সাথে আলাপকালে জানতে পারি এই আসনে পূর্বের ন্যয় এবারও সাবেক রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মুজিবুল হক মুজিব এমপি'র নামই সকলের মুখে মুখে। কারন, একমাত্র মুজিবুল হক মুজিব এমপি'র সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেন, তাদের সুখ দুঃখের সঙ্গী হিসেবে পাশে থাকেন। এবং তিনি প্রতিবারই এমপি ও মন্ত্রী হয়ে সাধারণ জনগণের আস্থা রেখেছেন, এই আসনে তার মতো উন্নয়ন সারা বাংলাদেশ আর কোথাও হয়নি। তাই এই আসনে জনগণ মোঃ মুজিবুল হক এমপি'র বাইরে অন্য কারো বিষয়ে চিন্তা করেননা। দলমত নির্বিশেষে সবাই মুজিবুল হক মুজিবকে উন্নয়নের কারিগর ও স্বজ্জন ব্যক্তি হিসেবেই জানেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সহযোগিতা ও মোঃ মুজিবুল হক মুজিব এমপি'র উদ্যোগে এই উপজেলা আজ আধুনিক উপজেলায় পরিনত হয়েছে।
সর্বোপরি, মোঃ মুজিবুল হক এমপি এই চৌদ্দগ্রাম আসনে রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেছেন, কোন প্রকার সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি,খুন সংঘটিত হয়নি। ধর্মীয় সংখ্যালঘুরাও নিজ নিজ ধর্ম কর্ম পালন করেছে, ধর্মীয় সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রেখেছেন। জানাযায়, এই আসনে একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবির চক্রের গোপন ঘাটি হিসেবে পরিচিত থাকলেও উক্ত চক্র মোঃ মুজিবুল হক মুজিব এমপি ক্ষমতায় থাকাকালীন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। এ কারনেও মোঃ মুজিবুল হক মুজিব এমপি সাধারণ জনগণের কাছে এক নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। আর এজন্যই এই আসনে সাবেক রেলপথ মন্ত্রী জননেতা জনাব মুজিবুল হক এমপি'র বিকল্প নেই।