শেয়ার বাজার

সম্পাদক ও সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

সম্পাদক ও সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

বার্তাবেলা (নিজস্ব প্রতিনিধি): বাংলাদেশ প্রেস ইউনিটির আয়োজনে জনবাণী সম্পাদক শফিকসহ সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদ-বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

২৯ ডিসেম্বর (রবিবার) বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ প্রেস ইউনিটির আহবায়ক এফ রহমান রূপক ও সদস্য সচিব শাহাজালাল উজ্জল ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন প্রেস ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা কলামিস্ট মোমিন মেহেদী, যুগ্ম আহবায়ক হুময়ুন মজিব, তোফায়েল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, মনসুর রহমান পাশা, মোঃ রায়হান, জাকিয়া হোসেন, মো. নাদিম আহমেদ, ফাতেমা নাসরিন প্রমুখ। 


এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক শফিকসহ ৪ সাংবাদিকের উপর হামলার পর মামলা হলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। তারা কি বাংলাদেশকে সাংবাদিকদের বসবাস অনুপোযোগি মানচিত্র বানাতে চায়? যদি তা না হয়, তাহলে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনুন। এর ব্যততয় ঘটলে বাংলাদেশ প্রেস ইউনিটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশনে বসবো। একই সাথে ১৭৭ জন সাংবাদিক গত ৩ মাসে চাকুরিচ্যুত হয়েছে, তাদেরকে চাকুরিতে পূর্ণবহালের ব্যবস্থা করার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে ‘ প্রেস ইউনিটির অঙ্গীকার-অপসাংবাদিকতা থাকবে না আর…’ শ্লোগানে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে আত্মপ্রকাশ করে অনলাইন প্রেস ইউনিটি। পরবর্তীতে ২০২০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ প্রেস ইউনিটি করা হয়।

Dummy Ad 1

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ কেন? এবং বিও (BO) একাউন্ট কি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই, ২০২৩

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ কেন? এবং বিও (BO) একাউন্ট কি?

একটি প্রশ্ন অনেকের মনেই উদ্ভব হয় যে, শেয়ারবাজারে কেন, আরও অনেক তো ব্যবসা আছে। অন্য কোথাও কি পুঁজি বিনিয়োগ করে লাভবান হওয়া যায় না? এ প্রশ্নটি মনে দেখা দেয়া খুবই স্বাভাবিক। যাঁদের মনে এ ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে, তাঁদের উদ্দেশে বলব, শেয়ারবাজার ব্যবসার এমন একটি জায়গা যেখানে একজন বিনিয়োগকারীর ক্ষতির চেয়ে লাভের সম্ভাবনাই বেশি, প্রয়োজন শুধু সচেতনতা ও বিচক্ষণতা।

যাঁরা প্রথমবারের মতো শেয়ার বাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছেন তাদের একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, এ বাজারের প্রত্যেকেই ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হন, পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সমৃদ্ধি ঘটে। মূলত আয় এবং মুনাফা- এ দুটোর জন্যই একজন ব্যক্তি শেয়ারবাজারে অংশগ্রহণ করে থাকে।

পাশাপাশি আর একটি বিষয় হলো, বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কোন বিকল্প নেই। এখানে একজন ব্যক্তি চাইলে অতিরিক্ত কোনো লোকবল ছাড়া নিজেই শ্রম দিয়ে লাভবান হতে পারেন। তাই-

▶️ আপনার কষ্টার্জিত অর্থ সঠিক এবং নিরাপদ ভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করুন যাতে ভবিষ্যতে আপনি লাভবান হতে পারেন।

▶️ আপনার হাতে সঞ্চিত তরল টাকার মান প্রতিনিয়ত আনুপাতিক হারে হ্রাস পাচ্ছে। পুঁজিবাজার বিনিয়োগ আপনার টাকার মান আনুপাতিক হরে বৃদ্ধি করে।

▶️ পুঁজিবাজার ব্যবসা করে আপনি কর রেয়াত পেতে পারেন এবং অধিক মুনাফা লাভ করুন।

▶️ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে আপনি পছন্দের কোম্পানিতে অংশীদার হচ্ছেন এবং কোম্পানির অর্জিত মূনাফা লাভ করছেন।

▶️ পুঁজিবাজারে আপনার বিনিয়োগকৃত শেয়ার এর মূল্য বৃদ্ধি, বোনাস এবং লভ্যাংশ আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী মূনাফা প্রদান করবে।

পরিশেষে বলা যায়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের অনেক কারণ রয়েছে। এটি অর্থ উপার্জনের একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে এবং এটি আপনাকে আপনার পোর্টফোলিওকে বৈচিত্র্যময় করতে সহায়তা করতে পারে। স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করা একটি স্মার্ট পদক্ষেপ, এবং এটি এমন কিছু যা আপনার অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত।

বিও (BO) একাউন্ট কি?

শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করার প্রথম ধাপ হলো (BO) একাউন্ট খোলা, আপনি চাইলে ৩টি সহজ উপায়ে একটি BO অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন এবং এমনকি চাইলে ঘরে বসেই সেটি করতে পারবেন। বিও অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনি চাইলে সেকেন্ডারি মার্কেটে শেয়ার কেনা-বেচা শুরু করতে পারেন বা আইপিও শেয়ারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হয় তা হল একটি বিও (BO) একাউন্ট (BO Account) বা Beneficiary Owner’s Account খোলা। ব্যাংকে অর্থ বা টাকা জমা ও উত্তোলন তথা হিসাব পরিচালনার জন্য যেমন ব্যাংক একাউন্ট খোলা বাধ্যতামলকূ তেমনি শেয়ার কেনা বেচা করার জন্যও একটি BO (Beneficiary Owner’s) অ্যাকাউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক।

একটি বিও (BO) অ্যাকাউন্ট আদতে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতই, তবে এটি খোলার জন্য আপনাকে একটি ব্রোকার হাউজের দ্বারস্থ হতে হবে। আপনি আপনার BO অ্যাকাউন্টে ব্যাংক একাউন্টের মতোই অর্থ জমা ও উত্তোলন করতে পারবেন তবে তা শুধুমাত্রই শেয়ার কেনা বেচার উদ্দেশ্যে ।

বিও (BO) একাউন্ট

বিও একাউন্ট সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে:

 ১. সাধারন বিও একাউন্ট:

‍ বাংলাদেশী অধিবাসী এবং বাংলাদেশে বসবাস করেন এমন ব্যক্তি সাধারন বিও একাউন্ট খুলতে পারেন। সাধারন বিও একাউন্ট আবার তিন ধরনের হয়-

* একক মালিকানাধীন বিও একাউন্ট (বিনিয়োগকারীর নিজের নামে বিও একাউন্ট বা Individual BO Account)।

* যৌথ মালিকানাধীন বিও একাউন্ট (দুই জন ব্যক্তির সম্মিলিত বিও একাউন্ট বা Joint BO Account)।

* কোম্পানি বিও একাউন্ট (বিনিয়োগকারী চাইলে নিজের কোম্পানির নামে বিও একাউন্ট খুলতে পারবেন)।

২. এনআরবি বিও একাউন্ট (নন-রেসিডেন্টবাংলাদেশী):

‍‍প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশী নাগরিকদের বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা সুবিধা দেয়ার জন্য এই ধরনের বিও একাউন্ট খোলা হয়ে থাকে।

এছাড়াও অন্য এক ধরনের একাউন্ট রয়েছে যা লিংক বিও একাউন্ট নামে পরিচিত। আপনার বর্তমান ব্রোকারেজ হাউজ থেকে কোন শেয়ার বিক্রি না করে লিংক বিও একাউন্টের মাধ্যমে অন্য হাউজের একই গ্রাহকের বিও একাউন্টে শেয়ার ট্রান্সফার করার জন্য লিংক বিওএকাউন্ট খোলা হয়।

বিও একাউন্ট খোলার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন?

এই নিবন্ধটি আপনাকে একটি BO অ্যাকাউন্ট খুলতে প্রয়োজনীয় নথিগুলি জানতে সাহায্য করবে।

একটি একক/যৌথ/লিংক বিও একাউন্ট খোলার জন্য-

▶️ আবেদনকারী/আবেদনকারীদের ও নমীনির প্রত্যেকের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি

▶️ এনআইডি বা পাসপোর্টের কপি

▶️ ব্যাংকের এমআইসিআর (MICR) চেকবইয়ের যেকোন পাতার ফটোকপি অথবা ৯ ডিজিট রাউটিং নাম্বার ও ১৩ ডিজিট ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার উল্লেখিত ব্যাংক সার্টিফিকেট।

▶️ টিন (TIN) সার্টিফিকেট (যাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।

নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশী (এনআরবি) বিও একাউন্ট খোলার জন্য-

▶️ আবেদনকারী/আবেদনকারীদের ও নমীনির প্রত্যেকের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি

▶️ জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ সামাজিক নিরাপত্তা কার্ড/রেসিডেন্স পার্মিট ইত্যাদির সত্যায়িত কপি।

▶️ ফরেন কারেন্সি ব্যাংক হিসাবের তথ্য।

▶️ নমীনির জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি

▶️ বিও একাউন্ট পরিচালনার জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিকে অথরাইজ করে POA (Power Of Attorney) ফর্ম পূরন ও ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে নোটারি করতে হবে।

কোম্পানি একাউন্ট খোলার জন্য-

▶️ মেমোরান্ডাম/আর্টিকেল অফ এসোসিয়েশন।

▶️ RJSC থেকে সংগৃহীত Form-X11 এর কপি।

▶️ বিও একাউন্ট খোলার জন্য কোম্পানির বোর্ড রেজুলেশনের ফটোকপি।

▶️ পাওয়ার অফ এটর্নীর (POA) এর এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (যার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।

▶️ কন্ট্যাক্ট পার্সোনের ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

▶️ কন্ট্যাক্ট পার্সোনের ন্যাশনাল আইডি কার্ডের উভয় পার্শের ফটোকপি।

▶️ ৯ ডিজিট রাউটিং নাম্বার ও ১৩ ডিজিট ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার উল্লেখিত ব্যাংক সার্টিফিকেট।

▶️ ব্যাংকের এমআইসিআর (MICR) চেকবইয়ের যেকোন পাতার ফটোকপি।

▶️ টিন সার্টিফিকেট ও ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি।

▶️ কোম্পানীর সিল।

‍সাধারনত বিও ফর্ম পুরন করে জমা দেয়ার পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যেই বিও একাউন্ট  খোলা হয়ে যায়। বিও একাউন্ট খোলার পর নগদ টাকা বা চেক জমা দেয়ার মাধ্যমে আপনি বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন।


কুমিল্লার হোমনায় দৌলতপুরে ইসলামি মহা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কুমিল্লার হোমনায় দৌলতপুরে  ইসলামি মহা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বার্তাবেলা ডেস্ক: কুমিল্লার হোমনায়  দৌলতপুর মধ্য পাড়া প্রবাসী ও যুবসমাজের উদ্যেগে ইসলামি মহা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে! 

শুক্রবার ৯ফেব্রুয়ারি বিকলে কুমিল্লা হোমনা উপজলোর দৌলতপুর মধ্য পাড়া জামে মসজিদে এই ইসলামি মহা সম্মেলন,  মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দৌলতপুর গ্রাম তথা হোমনার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজ সেবক জনাব মোহাম্মদ আলমগীর সাহেব।  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ বাবুল মিঞা- যুগ্ম সচিব- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-গণপ্রজাতন্রী বাংলাদেশ সরকার। সভাপতিত্ব করেন সাবেক মেম্বার আলহাজ্ জনাব মোঃ খুরশিদ সরকার।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুফতি এস এম ইয়াসিন আহমাদ আল উয়েসী-ইসলামি আলোচক-বাংলাদেশ টেলিভিশন-ঢাকা। 

বিশেষ বক্তা হিসেবে ছিলেন হযরত মাওলানা সাইফুল ইসলাম হেলালী-কুমিল্লা। 

এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ নসিহত পেশ করেন, হযরত মাওলানা আব্দুল হামিদ রেজা সাহেব-স্থায়ী ইমাম- দৌলতপুর ঈদগাহ জামাত এবং মুফতি মোঃ মহিউদ্দিন ফারুকী-ইমাম-মধ্য পাড়া (সাহেব বাড়ি) জামে মসজিদ। ছলিম উদ্দিন-রাজিয়া বেগম ফাউন্ডেশন এর পক্ষে  প্রধান বক্তা-বিশেষ বক্তা-সভাপতিসহ উপস্থিত ওলামায়েকেরাম গণকে শুভেচ্ছাস্বরুপ স্মৃতি স্মারক ক্রেস্ট ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী  প্রদান করেন এস.আর ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোঃ রকিব উদ্দিন। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে  আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ মোস্তফা, মোঃ মোশাররফ হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিমসহ আরো অনেকেই। 

অনুষ্টানে অনেক বছর পর দৌলতপুর মধ্য পাড়া জামে মসজিদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং দৌলতপুর সাহেব বাড়ি তথা গ্রামবাসীর অত্যন্ত প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয় মোহাম্মদ আলমগীর সাহেব প্রধান অতিথি হিসেবে গ্রামে আসায়  অসংখ্য গুনগ্রাহী গ্রামবাসি ছুটে আসেন তাকে দেখতে। ইসলামি মহাসম্মেলন উপলক্ষে গ্রাম জুড়ে  উৎসবের আমেজ। চমৎকার সাজ সজ্জা। মসজিদ-তোরণ- রাস্তা-ঘাট সহ আসে-পাশে সব আলোকসজ্জায় আলোকিত করা হয়৷  আয়োজন টি অত্যন্ত প্রানবন্ত ছিল৷ সবার জন্য বিশেষ তবারক (খিচুড়ির) ব্যবস্থা ছিল। 

অনুষ্ঠানে সকল প্রবাসীসহ কবরবাসীর স্মরনে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মাওলানা মোঃ নজরুল ইসলাম। তাহাকে সহযোগিতা করেন মুফতি মাওলানা মহিউদ্দিন ফারুকী। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন মোঃ সাহজাহান সাজু, মোঃ মুরতজ আলী, মোঃ হানিফা, মোঃ নাসির,মোঃ রিপন মেম্বার ও মধ্যপাড়ার যুব সমাজ।


পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির জিএম সাহিনুরের দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির জিএম সাহিনুরের দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন

সিরাজগঞ্জের নলকায় অবস্থিত পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (পিজিসিএল) মহাব্যবস্থাপক (জিএম-প্রশাসন) সাহিনুর আলমের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বার্তাবেলা'কে জানান, পিজিসিএলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জিয়াউর হক এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এতে পিজিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম-অপারেশন) প্রকৌশলী সাইদুল ইসলামকে আহ্বায়ক, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ফিন্যান্স) তৌফিক আল মমিন ও ব্যবস্থাপক আবু ইমাম তরিকুল হককে সদস্য করা হয়।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর ‘সিন্ডিকেট করে দুর্নীতি করছেন জিএম সাহিনুর’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয় শিল্পকারখানায় গ্যাস চুরি, নিয়োগ-বদলি, পদোন্নতি ও দরপত্রে কমিশন বাণিজ্যই যেন পিজিসিএল মহাব্যবস্থাপক সাহিনুর আলমের মুখ্য কাজ। সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী ও ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসনের সাবেক এমপি রমেশ চন্দ্র সেন এবং নিষিদ্ধ সংগঠন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের আশীর্বাদে বেপরোয়া সাহিনুর আলম।

এ বেপরোয়ায় তিনি অনিয়ম-দুর্নীতির স্বার্থে ‘চায়না-বাংলা লিমিটেড’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে উন্মুক্ত দরপত্রের শর্ত ভেঙে শতকরা ৩০-৪০ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে কাজ দেন। পরে এ কমিশন সিন্ডিকেটের সদস্যরা ভাগাভাগি করে নেন।

আফসার আলী নামের এক গ্রাহকের অভিযোগে বলা হয়, জিএম সাহিনুর আলমের নেতৃত্বে পিজিসিএলকে রীতিমতো একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে ধ্বংস করা হচ্ছে। এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা হলেন মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) শৈলজা নন্দ বসাক ও ব্যবস্থাপক (জেনারেল এডমিন) মোস্তাফিজুর রহমান।

সংবাদটি পিজিসিএলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জিয়াউর হকের নজরে আসায় এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।