শেয়ার বাজার

ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ৮৫ স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ৮৫ স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

বার্তাবেলা ডেস্ক: ইরাক ও সিরিয়ায় থাকা ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, "আমাদের জবাব আজ থেকে শুরু হল।”

বাইডেন বলেন, ‌‘আমার নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী ও তাদের সহযোগী গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়া আজ থেকে শুরু হলো। আমাদের পছন্দমতো সময়ে ও জায়গায় এটি চলতে থাকবে।’

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে জানায়, দুই দেশের ৮৫টি বেশি লক্ষ্যবস্তুতে তাদের সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়েছে। একাধিক বিমান হামলা এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে দূরপাল্লার বোমা হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানায় তারা।


গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) জর্ডানে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহত হন। জর্ডানে ওই হামলার জন্য ইরান–সমর্থিত একটি সশস্ত্র গ্রুপকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় তিনজন নিহত ছাড়াও আহত হন আরও ২৫ জন সেনা সদস্য।

আরও পড়ুন: সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানপন্থি ১৮ যোদ্ধা নিহত

ওই হামলার পর কঠোর প্রতিশোধের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত ইরানের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। অনুমোদনের পরদিনই দুই দেশে হামলা চালিয়ে বসলো মার্কিন সামরিক বাহিনী।

খবর: আল-জাজিরার।

Dummy Ad 1

গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি, ২০২৪

গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

বার্তাবেলা আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সংঘাত আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘরে-বাইরে সমানভাবে চাপে রয়েছেন। ইসরায়েলের অভ্যন্তরে তিনি যেমন চাপে আছেন একই ভাবে বিভিন্ন দেশেও ইসরায়েলের কর্মকান্ডের জোরালো নিন্দা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতেও নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরেও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে না। তার এমন মন্তব্যের পর গাজা এবং পশ্চিমতীরে নতুন করে হামলা বেড়ে গেছে।

গাজায় তীব্র লড়াইয়ের পাশাপাশি সিরিয়া এবং ইরাকেও হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৬৫ জন নিহত হয়েছে। একদিন আগের তুলনায় এই সংখ্যা দ্বিগুণ।

এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে গোলাগুলি, বিমান হামলা এবং কামানের গোলা থেকে হামলা চালানো হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিশর সীমান্তে অবস্থিত রাফা শহরে একটি বেসামরিক গাড়িতে হামলার ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৪ হাজার ৯২৭ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৬২ হাজার ৩৮৮ জন। ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরেও সংঘাত বাড়ছে।

এদিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের একটি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে পাঁচ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। হামলায় সিরিয়ায় নিযুক্ত ইরানের ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের ইন্টেলিজেন্স প্রধান নিহত হয়েছেন। তাছাড়া হামলায় তার দুই সহকারী ও অন্য দুই গার্ডও নিহত হয়েছেন। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান।

এই ঘটনায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তেহরান। ইসরায়েলের ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সিরিয়ার বেশ কয়েকজন সেনা সদস্যও নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি ইসরায়েল।

ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং ইসলামি জিহাদ। শনিবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে হামাস জানিয়েছে, দামেস্কের মাজ্জে এলাকার একটি আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।


হামাসের যুদ্ধ বন্ধের
হামাসের যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন নেতানিয়াহু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

হামাসের যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন নেতানিয়াহু

বার্তাবেলা ডেস্ক: হামাসের দেওয়া যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার, বন্দি মুক্তি ও গাজার শাসনভার হামাসের হাতে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে যুদ্ধ বন্ধ করাসহ জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার হামাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

রোববার (২১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে হামাস যুদ্ধ বন্ধ করা, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা ও সব খুনি-ধর্ষকদের মুক্তি দাবি করছে। তাদের এই শর্ত মেনে নেওয়া মানে, হামাসকে অক্ষত অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া ও ইসরাইলের সেনাবাহিনীকে অকার্যকর প্রমাণ করা।

আরও পড়ুন: যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র?

তিনি আরও বলেন, হামাসের ‘আত্মসমর্পণের’ এই পরিভাষা আমি পুরোপুরিভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এই শর্ত মানলে আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারবো না। ঘরছাড়া মানুষদের তাদের ঘরে নিরাপদে ফিরিয়ে দিতে পারবো না এবং আরেকটি ৭ অক্টোবর কেবল সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।

আবার গত বৃহস্পতিবারের (১৮ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, গাজার নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতেই থাকতে হবে। আর স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে তিনি বলেছিলেন, এমন রাষ্ট্র ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক হবে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। তার আওতায় হামাসের হাতে ইসরায়েল থেকে ধরে এনে গাজায় জিম্মি করা ২৪০ জনের মধ্য থেকে ১০০ জনেরও বেশি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিপরীতে ইসরায়েলের জেলে বন্দি থাকা ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়।

বর্তমানে বাকি ১৩৬ জিম্মির মুক্তির জন্য নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রয়েছেন নেতানিয়াহু। তাদের স্বজনরা নেতানিয়াহুর বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ করে মুক্তির ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তারা চান, তাদের স্বজনরা দ্রুতই বাড়িতে ফিরে আসুক। এমনকি, জিম্মিদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য একটি চুক্তির আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সমস্যার সমাধান করার প্রশ্নেও নমনীয় না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে নেতানিয়াহুর। অন্যদিকে, তার ডানপন্থী জোটের ক্ষমতাসীন নেতারা গাজায় যুদ্ধের মাত্রা বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যাপক চাপের মধ্যে আছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী


গাজায় ইসরায়েলি কমান্ডারসহ তিন সেনা নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গাজায় ইসরায়েলি কমান্ডারসহ তিন সেনা নিহত

বার্তাবেলা ডেস্ক: গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে কমান্ডারসহ আরও ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এতে স্থল অভিযানে মোট ২৩২ ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারালো। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

চার মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছে মিশর সীমান্তবর্তী রাফা শহরে। কিন্তু সেখানেও এখন হামলা পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। এতে ব্যাপক শঙ্কায় দিন কাটছে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের। কারণ তাদের কাছে আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, খান ইউনিসের পূর্বে অবস্থিত একটি ভবনে বিস্ফোরণে ওই তিন সেনা নিহত হয়েছেন।

এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের সিনাই সীমান্তে গত দুই সপ্তাহে অন্তত ৪০টি ট্যাঙ্ক পাঠিয়েছে মিশর। সীমান্তে নিজেদের নিরপত্তা জোরদার করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। কারণ ওই এলাকায় গাজার সঙ্গে মিশরের সীমান্ত রয়েছে।

গাজায় যে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল তা এবার রাফা পর্যন্ত বিস্তৃত করা হচ্ছে। এই রাফাতেই আশ্রয় নিয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। মিশরের আশঙ্কা ইসরায়েল যদি রাফায় হামলা শুরু করে তাহলে ফিলিস্তিনিরা সীমান্ত অতিক্রম করে মিশরে চলে যেতে পারে।

এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফায় বেসমরিক ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়া ও হামলার নির্দেশনা দিয়েছেন।