শেয়ার বাজার

কুমিল্লার হোমনায় কলাগাছিয়া মফিজ এন্ড আছমত উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

কুমিল্লার হোমনায় কলাগাছিয়া মফিজ এন্ড আছমত  উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বার্তাবেলা ডেস্ক: কুমিল্লার হোমনা কলাগাছিয়া মফিজ এন্ড আছমত উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে বার্ষিক মিলাদ এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার আছাদপুর ইউনিয়নের কলাগাছিয়া মফিজ এন্ড আছমত উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আস্থা সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন (সাকু) এবং প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংসদ অধ্যাপক আবদুল মজিদের সুযোগ্য কন্যা  এবং গুলশান কমার্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সহকারী অধ্যাপিকা নাহরিন ফারহানা পপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজ সেবিকা সুরাইয়া ইসলাস, ঢাকা বিসিআইসি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মীর মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান, কলাগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, আসাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো. শামীম আহমেদ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তার হোসেন, বাবু স্বপন দেবনাথ, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছলিম উদ্দিন খান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কবির হোসেন সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও পরীক্ষার্থীদের সাফল্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাতের শেষ পরীক্ষার্থীদের মাঝে মনোয়ারা বশির ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

Dummy Ad 1

পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির জিএম সাহিনুরের দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির জিএম সাহিনুরের দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন

সিরাজগঞ্জের নলকায় অবস্থিত পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (পিজিসিএল) মহাব্যবস্থাপক (জিএম-প্রশাসন) সাহিনুর আলমের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বার্তাবেলা'কে জানান, পিজিসিএলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জিয়াউর হক এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এতে পিজিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম-অপারেশন) প্রকৌশলী সাইদুল ইসলামকে আহ্বায়ক, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ফিন্যান্স) তৌফিক আল মমিন ও ব্যবস্থাপক আবু ইমাম তরিকুল হককে সদস্য করা হয়।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর ‘সিন্ডিকেট করে দুর্নীতি করছেন জিএম সাহিনুর’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয় শিল্পকারখানায় গ্যাস চুরি, নিয়োগ-বদলি, পদোন্নতি ও দরপত্রে কমিশন বাণিজ্যই যেন পিজিসিএল মহাব্যবস্থাপক সাহিনুর আলমের মুখ্য কাজ। সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী ও ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসনের সাবেক এমপি রমেশ চন্দ্র সেন এবং নিষিদ্ধ সংগঠন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের আশীর্বাদে বেপরোয়া সাহিনুর আলম।

এ বেপরোয়ায় তিনি অনিয়ম-দুর্নীতির স্বার্থে ‘চায়না-বাংলা লিমিটেড’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে উন্মুক্ত দরপত্রের শর্ত ভেঙে শতকরা ৩০-৪০ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে কাজ দেন। পরে এ কমিশন সিন্ডিকেটের সদস্যরা ভাগাভাগি করে নেন।

আফসার আলী নামের এক গ্রাহকের অভিযোগে বলা হয়, জিএম সাহিনুর আলমের নেতৃত্বে পিজিসিএলকে রীতিমতো একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে ধ্বংস করা হচ্ছে। এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা হলেন মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) শৈলজা নন্দ বসাক ও ব্যবস্থাপক (জেনারেল এডমিন) মোস্তাফিজুর রহমান।

সংবাদটি পিজিসিএলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জিয়াউর হকের নজরে আসায় এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।


সম্পাদক ও সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

সম্পাদক ও সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

বার্তাবেলা (নিজস্ব প্রতিনিধি): বাংলাদেশ প্রেস ইউনিটির আয়োজনে জনবাণী সম্পাদক শফিকসহ সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদ-বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

২৯ ডিসেম্বর (রবিবার) বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ প্রেস ইউনিটির আহবায়ক এফ রহমান রূপক ও সদস্য সচিব শাহাজালাল উজ্জল ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন প্রেস ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা কলামিস্ট মোমিন মেহেদী, যুগ্ম আহবায়ক হুময়ুন মজিব, তোফায়েল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, মনসুর রহমান পাশা, মোঃ রায়হান, জাকিয়া হোসেন, মো. নাদিম আহমেদ, ফাতেমা নাসরিন প্রমুখ। 


এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক শফিকসহ ৪ সাংবাদিকের উপর হামলার পর মামলা হলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। তারা কি বাংলাদেশকে সাংবাদিকদের বসবাস অনুপোযোগি মানচিত্র বানাতে চায়? যদি তা না হয়, তাহলে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনুন। এর ব্যততয় ঘটলে বাংলাদেশ প্রেস ইউনিটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশনে বসবো। একই সাথে ১৭৭ জন সাংবাদিক গত ৩ মাসে চাকুরিচ্যুত হয়েছে, তাদেরকে চাকুরিতে পূর্ণবহালের ব্যবস্থা করার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে ‘ প্রেস ইউনিটির অঙ্গীকার-অপসাংবাদিকতা থাকবে না আর…’ শ্লোগানে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে আত্মপ্রকাশ করে অনলাইন প্রেস ইউনিটি। পরবর্তীতে ২০২০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ প্রেস ইউনিটি করা হয়।


দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

মো: রাকিব উদ্দিন (স্পেশাল প্রতিনিধি): কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পুর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮ টার দিকে বিদ্যালয়ের  মাঠে মূল অনুষ্ঠানটি শুরু হয়ে ২দিন ব্যাপী চলে এই অনুষ্ঠান   ।  ২৬ ও ২৭ এপ্রিল  ২দিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালায় মুখরিত ছিলো দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা। 

খাওয়া দাওয়া,গল্প গুজব,  একে অপরের সঙ্গে  কুশল বিনিময়,দীর্ঘদিন পর বন্ধুদের কাছে পেয়ে অনেকে আবেগ আপ্লোত হয়ে পড়তে দেখা গেছে। দেশের তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে আনন্দ ঘন পরিবেশে সময়  কাটিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সব মিলিয়ে বিদ্যালয়ে  শিক্ষার্থীদের এক মিলন মেলায় রুপ নিয়েছে।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এসএসসি পাশের বর্ষ লেখা প্লেকার্ড নিয়ে শোভাযাত্রা বের করে এতে  উচ্ছাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। শোভাযাত্রাটি  হোমনা - রামকৃষ্ণপুর  সড়ক প্রদক্ষিণ করে, বিদ্যালয় মাঠে এসে শেষ হয়। একে একে সবার মাঝে  টি শার্ট,ব্যাগ,ক্যাপ,ব্যাচ ছবি সম্বরিত স্মারক গ্রন্থ" উচ্ছ্বস "বিতরণ করা হয়। 

শনিবার সকাল ১১ টার দিকে বিদ্যালয় মাঠের মূল মঞ্চে সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. বাবুল মিঞার সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠান শুরু হয়।

এতে  প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপচার্য অধ্যাপক ড. আল নকীব চৌধুরী, চট্রগ্রাম বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল কাশেম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব মোঃ নুরুজ্জামান। 

এছাড়াও অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য ও  বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মবিন মোল্লা, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববদ্যালয়ের সাবেক ডীন অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও দৌলতপুর উচ্চ  বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সহকারি শিক্ষক শ্রী অবনী মোহন সূত্রধর, হোমনা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, হোমনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. আবদুল হক সরকার ও  ঢাকা বিসিআইসি কলেজের অধ্যাপক মীর মো. মাসুদুজ্জামান। 

উক্ত অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারন মূলক বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী: নবীনগর সরকারি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো রাশেদুল হক নিশাত, হোমনা ছাত্রকল্যাণ সংসদের সাবেক সভাপতি ও সমাজ সেবক মোঃ রকিব উদ্দিন,  হোমনা সরকারি কলেজের অবসর প্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম,  কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ তাইফুর রহমান, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি গাজী ইলিয়াছ, সুবর্নজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  মো. ইব্রাহীম, বাঞ্ছারামপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক  আবদুল আউয়াল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক: আমানুল হক অলি,রোজিনা সুলতানা ও কোহিনুর আক্তার, ব্যবসায়ী শামীম সারোয়ার সহ বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দকে  সম্মাননা স্মারক (ক্রেস্ট) প্রদান করা হয়। দুপুরে লাঞ্চ বিরতির পর শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চলে  মধ্যরাত পর্যন্ত।