শেয়ার বাজার

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ কেন? এবং বিও (BO) একাউন্ট কি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ কেন? এবং বিও (BO) একাউন্ট কি?

একটি প্রশ্ন অনেকের মনেই উদ্ভব হয় যে, শেয়ারবাজারে কেন, আরও অনেক তো ব্যবসা আছে। অন্য কোথাও কি পুঁজি বিনিয়োগ করে লাভবান হওয়া যায় না? এ প্রশ্নটি মনে দেখা দেয়া খুবই স্বাভাবিক। যাঁদের মনে এ ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে, তাঁদের উদ্দেশে বলব, শেয়ারবাজার ব্যবসার এমন একটি জায়গা যেখানে একজন বিনিয়োগকারীর ক্ষতির চেয়ে লাভের সম্ভাবনাই বেশি, প্রয়োজন শুধু সচেতনতা ও বিচক্ষণতা।

যাঁরা প্রথমবারের মতো শেয়ার বাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছেন তাদের একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, এ বাজারের প্রত্যেকেই ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হন, পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সমৃদ্ধি ঘটে। মূলত আয় এবং মুনাফা- এ দুটোর জন্যই একজন ব্যক্তি শেয়ারবাজারে অংশগ্রহণ করে থাকে।

পাশাপাশি আর একটি বিষয় হলো, বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কোন বিকল্প নেই। এখানে একজন ব্যক্তি চাইলে অতিরিক্ত কোনো লোকবল ছাড়া নিজেই শ্রম দিয়ে লাভবান হতে পারেন। তাই-

▶️ আপনার কষ্টার্জিত অর্থ সঠিক এবং নিরাপদ ভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করুন যাতে ভবিষ্যতে আপনি লাভবান হতে পারেন।

▶️ আপনার হাতে সঞ্চিত তরল টাকার মান প্রতিনিয়ত আনুপাতিক হারে হ্রাস পাচ্ছে। পুঁজিবাজার বিনিয়োগ আপনার টাকার মান আনুপাতিক হরে বৃদ্ধি করে।

▶️ পুঁজিবাজার ব্যবসা করে আপনি কর রেয়াত পেতে পারেন এবং অধিক মুনাফা লাভ করুন।

▶️ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে আপনি পছন্দের কোম্পানিতে অংশীদার হচ্ছেন এবং কোম্পানির অর্জিত মূনাফা লাভ করছেন।

▶️ পুঁজিবাজারে আপনার বিনিয়োগকৃত শেয়ার এর মূল্য বৃদ্ধি, বোনাস এবং লভ্যাংশ আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী মূনাফা প্রদান করবে।

পরিশেষে বলা যায়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের অনেক কারণ রয়েছে। এটি অর্থ উপার্জনের একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে এবং এটি আপনাকে আপনার পোর্টফোলিওকে বৈচিত্র্যময় করতে সহায়তা করতে পারে। স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করা একটি স্মার্ট পদক্ষেপ, এবং এটি এমন কিছু যা আপনার অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত।

বিও (BO) একাউন্ট কি?

শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করার প্রথম ধাপ হলো (BO) একাউন্ট খোলা, আপনি চাইলে ৩টি সহজ উপায়ে একটি BO অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন এবং এমনকি চাইলে ঘরে বসেই সেটি করতে পারবেন। বিও অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনি চাইলে সেকেন্ডারি মার্কেটে শেয়ার কেনা-বেচা শুরু করতে পারেন বা আইপিও শেয়ারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হয় তা হল একটি বিও (BO) একাউন্ট (BO Account) বা Beneficiary Owner’s Account খোলা। ব্যাংকে অর্থ বা টাকা জমা ও উত্তোলন তথা হিসাব পরিচালনার জন্য যেমন ব্যাংক একাউন্ট খোলা বাধ্যতামলকূ তেমনি শেয়ার কেনা বেচা করার জন্যও একটি BO (Beneficiary Owner’s) অ্যাকাউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক।

একটি বিও (BO) অ্যাকাউন্ট আদতে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতই, তবে এটি খোলার জন্য আপনাকে একটি ব্রোকার হাউজের দ্বারস্থ হতে হবে। আপনি আপনার BO অ্যাকাউন্টে ব্যাংক একাউন্টের মতোই অর্থ জমা ও উত্তোলন করতে পারবেন তবে তা শুধুমাত্রই শেয়ার কেনা বেচার উদ্দেশ্যে ।

বিও (BO) একাউন্ট

বিও একাউন্ট সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে:

 ১. সাধারন বিও একাউন্ট:

‍ বাংলাদেশী অধিবাসী এবং বাংলাদেশে বসবাস করেন এমন ব্যক্তি সাধারন বিও একাউন্ট খুলতে পারেন। সাধারন বিও একাউন্ট আবার তিন ধরনের হয়-

* একক মালিকানাধীন বিও একাউন্ট (বিনিয়োগকারীর নিজের নামে বিও একাউন্ট বা Individual BO Account)।

* যৌথ মালিকানাধীন বিও একাউন্ট (দুই জন ব্যক্তির সম্মিলিত বিও একাউন্ট বা Joint BO Account)।

* কোম্পানি বিও একাউন্ট (বিনিয়োগকারী চাইলে নিজের কোম্পানির নামে বিও একাউন্ট খুলতে পারবেন)।

২. এনআরবি বিও একাউন্ট (নন-রেসিডেন্টবাংলাদেশী):

‍‍প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশী নাগরিকদের বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা সুবিধা দেয়ার জন্য এই ধরনের বিও একাউন্ট খোলা হয়ে থাকে।

এছাড়াও অন্য এক ধরনের একাউন্ট রয়েছে যা লিংক বিও একাউন্ট নামে পরিচিত। আপনার বর্তমান ব্রোকারেজ হাউজ থেকে কোন শেয়ার বিক্রি না করে লিংক বিও একাউন্টের মাধ্যমে অন্য হাউজের একই গ্রাহকের বিও একাউন্টে শেয়ার ট্রান্সফার করার জন্য লিংক বিওএকাউন্ট খোলা হয়।

বিও একাউন্ট খোলার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন?

এই নিবন্ধটি আপনাকে একটি BO অ্যাকাউন্ট খুলতে প্রয়োজনীয় নথিগুলি জানতে সাহায্য করবে।

একটি একক/যৌথ/লিংক বিও একাউন্ট খোলার জন্য-

▶️ আবেদনকারী/আবেদনকারীদের ও নমীনির প্রত্যেকের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি

▶️ এনআইডি বা পাসপোর্টের কপি

▶️ ব্যাংকের এমআইসিআর (MICR) চেকবইয়ের যেকোন পাতার ফটোকপি অথবা ৯ ডিজিট রাউটিং নাম্বার ও ১৩ ডিজিট ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার উল্লেখিত ব্যাংক সার্টিফিকেট।

▶️ টিন (TIN) সার্টিফিকেট (যাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।

নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশী (এনআরবি) বিও একাউন্ট খোলার জন্য-

▶️ আবেদনকারী/আবেদনকারীদের ও নমীনির প্রত্যেকের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি

▶️ জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ সামাজিক নিরাপত্তা কার্ড/রেসিডেন্স পার্মিট ইত্যাদির সত্যায়িত কপি।

▶️ ফরেন কারেন্সি ব্যাংক হিসাবের তথ্য।

▶️ নমীনির জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি

▶️ বিও একাউন্ট পরিচালনার জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিকে অথরাইজ করে POA (Power Of Attorney) ফর্ম পূরন ও ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে নোটারি করতে হবে।

কোম্পানি একাউন্ট খোলার জন্য-

▶️ মেমোরান্ডাম/আর্টিকেল অফ এসোসিয়েশন।

▶️ RJSC থেকে সংগৃহীত Form-X11 এর কপি।

▶️ বিও একাউন্ট খোলার জন্য কোম্পানির বোর্ড রেজুলেশনের ফটোকপি।

▶️ পাওয়ার অফ এটর্নীর (POA) এর এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (যার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।

▶️ কন্ট্যাক্ট পার্সোনের ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

▶️ কন্ট্যাক্ট পার্সোনের ন্যাশনাল আইডি কার্ডের উভয় পার্শের ফটোকপি।

▶️ ৯ ডিজিট রাউটিং নাম্বার ও ১৩ ডিজিট ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার উল্লেখিত ব্যাংক সার্টিফিকেট।

▶️ ব্যাংকের এমআইসিআর (MICR) চেকবইয়ের যেকোন পাতার ফটোকপি।

▶️ টিন সার্টিফিকেট ও ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি।

▶️ কোম্পানীর সিল।

‍সাধারনত বিও ফর্ম পুরন করে জমা দেয়ার পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যেই বিও একাউন্ট  খোলা হয়ে যায়। বিও একাউন্ট খোলার পর নগদ টাকা বা চেক জমা দেয়ার মাধ্যমে আপনি বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন।

Dummy Ad 1

কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচিত হয়েছেন মুফতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচিত হয়েছেন মুফতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী

বার্তাবেলা ডেস্ক: কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচিত হয়েছেন মুফতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী সাহেব। গত ১০ই ফেব্রুয়ারী' ২০২৪ইং তিনি হোমনা উপজেলা শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন। হোমনা উপজেলা ইউএনও মহদয় নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষে জনাব মুফতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী'কে হোমনা উপজেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম হিসেবে ঘোষণা করেন এবং জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইমাম প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহনের জন্য হোমনা উপজেলার প্রতিনিধি হিসেবে তাকে মনোনীত করেন। 

গত ২০-০২-২০২৪ইং তারিখে জনাব মুফতি মহিউদ্দিন ফারুকী সাহেব 

 কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন । পরবর্তীতে তিনি কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচিত হন এবং সম্মানিত কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট থেকে কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম এর সনদ গ্রহণ করেন। 

বর্তমানে তিনি কুমিল্লা  দুলালপুর ইউনিয়নের  দৌলতপুর মধ্য পাড়া (সাহেব বাড়ি) জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

 এছাড়াও দৌলতপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় তিনি  শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। 

দৌলতপুর মধ্যপাড়া সাহেব বাড়ি জামে মসজিদ কমিটি এবং দৌলতপুর মধ্যপাড়া তথা সাহেব বাড়ির "ছলিম উদ্দিন রাজিয়া বেগম" ফাউন্ডেশন ও "খলিলুর রহমান" ফাউন্ডেশন তার এই অর্জনে অনেক গৌরব বোধ করছেন।

উভয় ফাউন্ডেশনের পক্ষে তাকে খুব শিগগিরই নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়ার কথা জানালেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 

মুফতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী সাহেবের জীবনবৃত্তান্ত;

 কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার  পিতা নাম মোহাম্মদ খুরশিদ মিয়া এবং  মাতা: মোসাম্মৎ সালেহা আক্তার।  

তিনি ২০১১সালে দুলালপুর আলহাজ্ব বেগম কফিল উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা থেকে সাধারণ বিভাগের দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ২০১৩ সালে তিনি সোনাকান্দা দারুল হুদা বহু মুখী কামিল মাদ্রাসা থেকে   আলিম পাশ করেন। পর্যায়ক্রমে তিনি একই মাদ্রাসা থেকে ২০১৬তে ফাযিল, ২০১৯শে কামিল হাদিস ও ২০২০ সালে কামিল ফিকাহ বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। উল্লেখ্য ২০১৮তে মুফতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী সাহেব চট্টগ্রামের আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আল কোরআন এন্ড ইসলামীক স্টাডিজের উপরে অনার্স করেন।

জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইমাম ও-খতিব নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে অভিব্যক্তি জানতে চাইলে মুফতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, আল্লাহর দরবারে লাখো লাখো শুকরিয়া আদায় করি। আল্লাহ আমাকে যে জ্ঞান দান করেছেন আমি যেনো ইসলামের ধর্মীয় আচারে সমাজ ও রাষ্ট্রকে আলোকিত করতে পারি সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।


দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

মো: রাকিব উদ্দিন (স্পেশাল প্রতিনিধি): কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পুর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮ টার দিকে বিদ্যালয়ের  মাঠে মূল অনুষ্ঠানটি শুরু হয়ে ২দিন ব্যাপী চলে এই অনুষ্ঠান   ।  ২৬ ও ২৭ এপ্রিল  ২দিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালায় মুখরিত ছিলো দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা। 

খাওয়া দাওয়া,গল্প গুজব,  একে অপরের সঙ্গে  কুশল বিনিময়,দীর্ঘদিন পর বন্ধুদের কাছে পেয়ে অনেকে আবেগ আপ্লোত হয়ে পড়তে দেখা গেছে। দেশের তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে আনন্দ ঘন পরিবেশে সময়  কাটিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সব মিলিয়ে বিদ্যালয়ে  শিক্ষার্থীদের এক মিলন মেলায় রুপ নিয়েছে।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এসএসসি পাশের বর্ষ লেখা প্লেকার্ড নিয়ে শোভাযাত্রা বের করে এতে  উচ্ছাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। শোভাযাত্রাটি  হোমনা - রামকৃষ্ণপুর  সড়ক প্রদক্ষিণ করে, বিদ্যালয় মাঠে এসে শেষ হয়। একে একে সবার মাঝে  টি শার্ট,ব্যাগ,ক্যাপ,ব্যাচ ছবি সম্বরিত স্মারক গ্রন্থ" উচ্ছ্বস "বিতরণ করা হয়। 

শনিবার সকাল ১১ টার দিকে বিদ্যালয় মাঠের মূল মঞ্চে সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. বাবুল মিঞার সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠান শুরু হয়।

এতে  প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপচার্য অধ্যাপক ড. আল নকীব চৌধুরী, চট্রগ্রাম বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল কাশেম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব মোঃ নুরুজ্জামান। 

এছাড়াও অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য ও  বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মবিন মোল্লা, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববদ্যালয়ের সাবেক ডীন অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও দৌলতপুর উচ্চ  বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সহকারি শিক্ষক শ্রী অবনী মোহন সূত্রধর, হোমনা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, হোমনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. আবদুল হক সরকার ও  ঢাকা বিসিআইসি কলেজের অধ্যাপক মীর মো. মাসুদুজ্জামান। 

উক্ত অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারন মূলক বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী: নবীনগর সরকারি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো রাশেদুল হক নিশাত, হোমনা ছাত্রকল্যাণ সংসদের সাবেক সভাপতি ও সমাজ সেবক মোঃ রকিব উদ্দিন,  হোমনা সরকারি কলেজের অবসর প্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম,  কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ তাইফুর রহমান, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি গাজী ইলিয়াছ, সুবর্নজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  মো. ইব্রাহীম, বাঞ্ছারামপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক  আবদুল আউয়াল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক: আমানুল হক অলি,রোজিনা সুলতানা ও কোহিনুর আক্তার, ব্যবসায়ী শামীম সারোয়ার সহ বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দকে  সম্মাননা স্মারক (ক্রেস্ট) প্রদান করা হয়। দুপুরে লাঞ্চ বিরতির পর শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চলে  মধ্যরাত পর্যন্ত।



কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে মো. মুজিবুল হক মুজিব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে মো. মুজিবুল হক মুজিব

বার্তাবেলা: ভোটের হাওয়া লেগেছে সারা দেশে। যার উত্তাপ ছড়াচ্ছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আসনভিত্তিক প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন হিসেব কষছে ক্ষমতাসীনরা। পিছিয়ে নেই বিরোধী দলগুলোও।

বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথা বললেও মাঠ পর্যায়ের নেতারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কুমিল্লা জেলার ১১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনটি। এখানে এক সময়ে রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর আধিপত্য ছিল।

জামায়াতের বর্তমান কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ২০০১ সালে এখান থেকেই এমপি হয়েছিলেন। জামায়াত নেতা তাহের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম আসনটিতে সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেছিলেন বলে ওই এলাকার স্থানীয় মানুষের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। জামায়াতে আধিপত্যের এ ঘাটিতে চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন বর্তমান এমপি সাবেক রেলপথমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হক মুজিব।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিনি স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে মো. মুজিবুল হক মুজিব দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলেন।

মুজিবুল হক মুজিব স্কুলজীবনেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দেন। ছাত্র রাজনীতি শেষে তিনি যুবলীগে যোগদান করেন। 

স্বাধীনতার পরে কুমিল্লা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি মূল সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে নেতৃত্ব দেন। 

তিনি বর্তমানে কুমিল্লা (দ.) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। 

তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি একই আসনে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য হিসেবে ৭ম সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮-২০০১ সালে তিনি মহান জাতীয় সংসদের হুইপ (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন) নিযুক্ত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি ২৫৯ কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে পুনরায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তিনি মহান জাতীয় সংসদের হুইপ (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন) নিযুক্ত হন।

২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে তার মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন এবং তাকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। গত ২১ নভেম্বর ২০১৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য মনোনীত করেন এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করেন। ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর, তিনি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এছাড়াও তিনি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্য মনোনীত হন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুজিবুল হক কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) নির্বাচনী এলাকা থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ নিয়ে তিনি ৩ বার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাকে মন্ত্রিসভার সদস্য মনোনীত করেন এবং পুনরায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান করেন। এ নিয়ে তিনি তিনবার মন্ত্রিসভার সদস্য হন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১১ আসন থেকে তিনি আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আওয়ামী লীগের সময় উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টেছে জীবনমানও। এবারও এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল হক মুজিব

মুজিবুল হক বলেন, চৌদ্দগ্রাম আসনটিতে প্রধানমন্ত্রীর অবদানে আওয়ামী লীগের আমলে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, রাস্তাঘাট, পুল, কালভার্ট, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎসহ সব সেক্টরে উন্নয়ন হয়েছে। আমি এমপি হয়ে নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনের ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ নৌকায় ভোট দেবেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও পৌর মেয়র জিএম মীর হোসেন মীরু বলেন, মুজিবুল হক চৌদ্দগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। উন্নয়নের স্বার্থে তিনিই পুনরায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন।